বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স– সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নীতিমালায় আরেক ধাপ পরিবর্তন আনাতে যাচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে য জানা গেছে বদলির ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে যোগ্যতার বিভিন্ন মাপকাঠি পর্যালোচনা করে নম্বর প্রদান করা হবে। এজন্য ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হতে পারে। সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনকারী পছন্দের স্থানে বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাদলকে আহ্বায়ক করে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ চারজনকে সদস্য করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, বদলি কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বছরে শুধুমাত্র জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত- এ তিন মাস নয়, সারা বছরই শিক্ষক বদলি করা যাবে। শিক্ষক বদলির জন্য একজন শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা, ইনোভেশন (উদ্ভাবনী দক্ষতা), শ্রেষ্ঠ পুরস্কারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হতে পারে।
বদলির ক্ষেত্রে সফটওয়্যারে একটি আবদেনপত্র দেয়া হবে। সেখানে আবেদকারীর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে। বদলিপ্রত্যাশীরা এসব তথ্য যুক্ত করলে অটোমেটিক তার প্রাপ্ত নম্বর যোগ হয়ে যাবে। এক আসনে একাধিক আবেদনকারী থাকলে যার প্রাপ্ত নম্বর বেশি হবে তিনি বদলির জন্য মনোনীত হবেন।
এছাড়া আবেদন ফরমে শিক্ষকরা বদলির জন্য জেলা-উপজেলার একাধিক বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবেন।জানতে চাইলে কমিটির প্রধান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) বদরুল হাসান বাদল বলেন, অনলাইনভিত্তিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য শিক্ষক বদলি নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
যেমন উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কেউ যদি ঢাকা মহানগরীতে বদলি হতে চান তাহলে তিনি আবেদন করবেন। নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যিনি বেশি নম্বর পাবেন তাকে বদলি করা হবে। তবে সকল মূল্যায়নে যদি সমান সমান নম্বর পান সেক্ষেত্রে যিনি আগে আবেদন করবেন তাকে বদলির জন্য মনোনীত করা হবে।
চলতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। নানা অনিয়ম, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি নানা মহলের মনোনীত প্রার্থীদের বদলি করতে হিমশিম খেতে হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে।