বুধবার১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণীর মাদক ব্যবসা-কখনো সাংবাদিক, কখনো পুলিশ

বাংলা সংবাদ২৪ সংবাদদাতা- বুধবার সন্ধ্যায় যশোরে মাদক ব্যবসায়ী একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়। পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়ে এ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধে জড়িত বলে তথ্য মিলেছে।

আটকরা হলেন চৌগাছা উপজেলার নারাণপুর গ্রামের মিঠুর স্ত্রী রুমানা ওরফে লিপি, যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া বিল্লা মসজিদ রোডের পিয়া, শংকরপুর মুরগির ফার্মগেট এলাকার সোহেল, রেলরোডের রেলবাজার এলাকার বিসমিল্লাহ সেলুনের পেছনের বাসিন্দা বাবু ও আশ্রম রোডের সাহেব বাবুর বাড়ির সামনের বাসিন্দা তুহিন।

এদের মধ্যে রুমানা ওরফে লিপি নিজেকে সাপ্তাহিক স্মৃতি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে দাবি করেন। তার বসবাস শহরের রেলগেট ও ষষ্টিতলা এলাকায়।
কোতয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, বুধবার বিকেলে তারা যশোর জিলা স্কুলের সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে আটক করেন।

এদের একজন হলেন সোহেল। তার হাতে একটি ওয়াকিটকি পাওয়া যায়। পরে শরীর তল্লাশি চালিয়ে আরো ওয়াকিটকি উদ্ধার হয়। আটকের পর সোহেল দাবি করেন, তিনি যশোর রেলওয়েতে চাকরি করেন এবং ওয়াকিটকি তাদের অফিসের।

পুলিশ আরো জানায়, তাকে রেলস্টেশনে নিয়ে গেলে স্টেশন মাস্টার তাদের (পুলিশ) জানান, সোহেল এক সময় রেলওয়েতে অস্থায়ী হিসেবে কাজ করত। এখন কাজ করেন না। আর ওয়াকিটকি দুটি রেলওয়ের নয়। পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সোহেল স্বীকার করেন, ওয়াকিটকি দুটি রুমানা ওরফে লিপির কাছ থেকে নিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে রুমানা ওরফে লিপি ও পিয়াসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

আটকের পর রুমানা নিজেকে সাপ্তাহিক স্মৃতি নামে একটি পত্রিকার প্রতিবেদক হিসেবে পরিচয় দেন। ওয়াকিটকি প্রসঙ্গে রুমানা পুলিশকে জানান, তিনি একটি কোম্পানি থেকে ওয়াকিটকি সংগ্রহ করেছেন। পুলিশ জানায়, বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে এ ধরনের ওয়াটিকটি দিয়ে থাকে।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রুমানা ওরফে লিপি একজন কলগার্ল। তিনি এর আগে দুবার ধরাও পড়েন পুলিশের হাতে। তা ছাড়া তিনি বড় ধরনের মাদক ব্যবসায় জড়িত।

 থানা পুলিশের এসআই আমিরুজ্জামান জানান, রুমানা একটি এফজেডএস মোটরসাইকেল চালিয়ে বেড়ান। এ মোটরসাইকেল মূলত তার স্বামীর। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ইয়াবা কারবারে জড়িত। সাংবাদিক পরিচয়ে সুবিধা নিয়ে রুমানা বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার বড় বড় চালান সরবরাহ করে থাকে।
তিনি জানান, মাদকের ব্যবসা ছাড়াও বিভিন্ন লোকজনকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় রুমানাসহ প্রতারকরা।