গুরুদাসপুর প্রতিনিধি- নাটোরের গুরুদাসপুরে কাবিল বিশ্বাস (২০) নামে এক স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুনকে (১৮) আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার ভোরে উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাবিল বিশ্বাস পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ধানকুড়িয়া চরপাড়া গ্রামের নওশেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। রুমি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের মকছেদ আলীর মেয়ে।
রুমির পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত পাঁচ মাস পূর্বে কাবিল বিশ্বাসের সাথে রুমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কাবিল হোসেন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালায়। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ১ জানুয়ারি শীতের পিঠা খাওয়ার কথা বলে রুমি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। শুক্রবার কাবিল হোসেন মাশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসে। রুমির বাবার বাড়িতে রাতে ওই একইভাবে রুমির ওপর যৌন নির্যাতন চালায় কাবিল বিশ্বাস। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ হয়। এর একপর্যায়ে স্বামী কাবিল ঘুমিয়ে পড়লে ভোররাতে ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার অণ্ডকোষসহ পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই কাবিল বিশ্বাসের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে নিহত কাবিলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনায় নিহতের ঘাতক স্ত্রী রুমি খাতুনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়।
নিহতের বাবা নওশের বিশ্বাস জানান, তার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। ছেলেকে পিঠা খাওয়ানোর কথা বলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে আসে। কোন পরকীয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। তার ছেলে হত্যার তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম রেজা বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।