বুধবার১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে দা দিয়ে কোপালো তরুণ

আহত স্কুলছাত্রী সামিরা আক্তার। ছবি:সংগৃহীত

বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স— ২৭ এপ্রিল (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-ঘাটের বাজার সড়কের মীরশংকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সামিরা আক্তার নামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে দা দিয়ে কোপালো এক তরুণ।

এ সময় জুয়েল আহমদ নামে ওই তরুণকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। আহত ছাত্রী সামিরার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও ছাত্রীর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, সামিরা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাবস্থায় সাদিপুর গ্রামের জুয়েল আহমদ প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি ছাত্রীর অভিভাবকরা স্থানীয় মেম্বার ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জুয়েলের বাবা ও ভাইদের ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করবে না ওই মর্মে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়। এরপরও ওই যুবক সামিরাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো।

শনিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ির ফেরার পথে সিএনজি অটোরিকশা যোগে মীরশংকর বাজারে গিয়ে নামে সামিরা। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তায় একা পেয়ে জুয়েল প্রকাশ্যে ধারালো দা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

স্থানীয়রা সামিরার চিৎকার শোনে এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তার মাথায় ও কানে দায়ের কোপ রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ছাত্রীর মা সাহারা বেগম আহাজারি করে বলেন, জুয়েল আমার বড় মেয়েকে সব সময় উত্যক্ত করতো। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার জানতেন। আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। আজ আমার মেয়েটির জীবন সংকটে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান বলেন এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জুয়েলকে আটক করা হয়েছে।