বুধবার২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে সাবেক রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক– পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত একজন সাবেক রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো। পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে দুইবার পাকিস্তানের সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচারের জন্যে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের শাসনামলে এ বিশেষ আদালত গঠন করা হয়।

৩ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের ২ জনই পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ব্যাপারে একমত হন। ইসলামাবাদে মঙ্গলবার আদালতে সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে বড় রকমের রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ফাঁসির সাজা দেয়।

২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার বিরুদ্ধে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন ও অন্যান্য আইনি জটিলতায় সাজা ঘোষণা ক্রমে পিছিয়ে যায়।

এ অবস্থায় ২০১৬ সালে দেশ ছাড়েন প্রাক্তন সাবেক এই সেনাপ্রধান। বর্তমানে দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। পাকিস্তান সরকার ও আদালতের মধ্যে চলা টানাপোড়েনের শেষে গত ৫ ডিসেম্বর বিশেষ আদালত জানিয়েছিল, ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ শুনানি শেষে সাজা ঘোষণা করা হবে। এই মামলায় ৭৬ বছরের মোশাররফকে বক্তব্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিশেষ আদালত।

বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন, তার অবর্তমানে যেন মামলার শুনানি না-হয়। সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে হাজিরা না-দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ আদালতের সংরক্ষিত রায় খারিজ করে দেওয়ার জন্য লাহোর হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।এই বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চের শীর্ষে রয়েছেন পেশাওয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ক্ষমতায় ছিলেন মুশারফ।