বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ক্ষিতারেরপাড়ার (রানীরপাড়া) বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ঔরসজাত সন্তান দু’জন। কিন্তু কাগজে-কলমে সংখ্যা ৯। ভুয়া সাত সন্তানের মধ্যে ৫ জনকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দিয়েছেন। অন্য দুজনের একজনকে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সনদ ব্যবহার করেছেন। আরেকজন নিয়েছেন ব্যাবসায়িক সুবিধা। বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
আজ শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানে এ খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডারও। ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে রফিকুল ও তাঁর তিন কথিত সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনজন। প্রতিবেদনে বলা হয়- রফিকুল ও রেবেকা সুলতানা দম্পতির সন্তান রাশেদা আক্তার ও মোর্শেদা আক্তার। দু’জনই এখন গৃহিণী। তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সন্তানকে নিজের দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি ও অন্যান্য সুবিধা আদায় করে দিয়েছেন রফিকুল।