বুধবার৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৯ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা , ৫০ লাখ টাকা দিলেন সেই বদিউজ্জামানকে

পঞ্চাশ লাখ টাকার চেক দিচ্ছেন প্রধান মন্ত্রী ছবি-সংগৃহীত

ডেক্স রিপোট- গত ২৭ জানুয়ারি বদিউজ্জামান সরদারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সোহরাব হোসেন হাওলাদার।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চায়ের দোকানদার বদিউজ্জামান সরদারকে ভুলে গেছেন অনেকেই। তবে তার অবদান ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অবশেষে দীর্ঘ ১৯ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলো বদিউজ্জামানের।শত ব্যস্ততার ফাঁকেও বদিউজ্জামানকে সময় দেন এবং উদার মনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।শুধু তাই নয়, দফতরে বসে বদিউজ্জামানের হাতে ৫০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেদিন এই বদিউজ্জামানের কল্যাণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয় নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদের অন্যতম সদস্য মুফতি হান্নান। ২০০০ সালের জুলাই মাসে কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলের কাছাকাছি ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখে হুজি নেতা মুফতি হান্নান।
উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা। তবে তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি।জনসভার আগের দিন সকালে বদিউজ্জামান সরদার পুকুরে চায়ের কেটলি ধুতে গিয়ে একটি তার দেখতে পান।বিষয়টি তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে জানালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ছুটে আসেন। তল­াশিতে সন্ধান মেলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা।
এ ঘটনার ১৯ বছরের মধ্যে পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা।
এ সময়কালীন কোটালীপাড়ার আওয়ামী লীগের অনেক নেতার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সেই বদিউজ্জামান সরদারের ভাগ্য খোলেনি।এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার দেখা করার চেষ্টা করে বিফল হয়েছেন বদিউজ্জামান।
স¤প্রতি স্থানীয় আ’লীগ নেতা সোহরাব হোসেন হাওলাদারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পেরে আপ্লুত বদিউজ্জামান।
বদিউজ্জামান সরদার বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর চেষ্টার পর আজ সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মন খুলে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আমাকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন