বুধবার১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতের কাঠগড়ায় প্রেমিককে প্রেমিকা

তুই খারাপ তোর বাপও খারাপ

জনশক্তি রপ্তানিকারক মো. শাহ আলম ভূঁইয়া (৭৫) হত্যা মামলায় নিহতের ছেলে সৈকত হাসান রাজ ও তার প্রেমিকা লাবনী আক্তার ইমু ওরফে কনিকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ”

;আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার ৭ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ে একই সঙ্গে মরদেহ গোপন করার জন্য আসামিদের ৭ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করেছেন আদালত। যা অনাদায়ে আসামিদের আরও ৫ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।”

;রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, রায় ঘোষণার সময় বিচারক যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া সম্পর্কে বলেছেন- রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের সক্ষম হয়েছে।”

;এখানে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু আসামিদের বয়স কম। ছেলের সামনে বাবা তার প্রেমিকার সঙ্গে অশ্লীলকাজে লিপ্ত হতে যাচ্ছিলেন। তাই সববিকছু বিবেচনায় নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।”

;এদিকে রায় ঘোষণার পর কাঠগড়ায় থাকা আসামিরা বাক্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আসামি লাবনীকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়- তুই (সৈকত) খারাপ, তোর বাপও খারাপ। তুই মেরে আমাকে ফাঁসিয়েছিস। জবাবে সৈকত বলেন-তুই খারাপ। এরপর পুলিশ তাদের কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যায় “

;২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা-পুলিশের পর মামলার তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।.