নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা–
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শিমু আক্তার নামে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দুইজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
;আজ (মঙ্গলবার) সকালে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।”
;আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ সকালে মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের কৃষক সাইদুল হকের মেয়ে শিমু আক্তারকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে আসামিরা। এ সময় ভুক্তভোগী শিমু বিষয়টি তার বাবাকে জানাবে বললে ধর্ষণের পর ওই শিশুকে বাচ্চু মিয়া ও আমির হামজা ক্ষুব্ধ হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।”
;এ ঘটনায় শিমুর বাবা সাইদুল হক বাদী হয়ে আমির হামজা ও বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাচ্চু মিয়া ও আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। ”
;এ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১ বছর পর ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বিচারক তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জামির উদ্দিন জিয়া জানান- আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাদের টার্গেট ছিল শিমুর বড় বোন শারমিন আক্তারকে ধর্ষণ করা। কিন্তু ঘটনার দিন শারমিনকে না পেয়ে শিমুকে ধর্ষণ শেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেন।”
;শিমুর বাবা সাইদুল হক বলেন-দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মেয়ের খুনিদের বিচার পেয়েছি। এখন রায় কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মাও শান্তি পাবে।.