মঙ্গলবার১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার খাওয়ার কথা অস্বীকার করলেন সেই অধ্যক্ষ

জেলা প্রতিনিধি-

সংবাদ সম্মেলন করে অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মহানগরীর নিউ মার্কেট এলাকার রাজনৈতিক চেম্বারে ভিকটিম অধ্যক্ষকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।”

;এ সময় অধ্যক্ষ সেলিম রেজাও এমপির হাতে মার খাওয়ার কথা অস্বীকার করেন। একইসঙ্গে গণমাধ্যম প্রকাশিত এ ঘটনা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন।”

;এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন-অধ্যক্ষ ফোরামের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে গত ৭ জুলাই আমার কার্যালয়ে যা ঘটেছে তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিকৃতি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। একটি চক্র ইস্যু তৈরি করার জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে আমার সম্মানহানি করেছে।”

;এই সম্মান কি গণমাধ্যমকর্মীরা আমাকে ফেরত দিতে পারবেন? তিনি আরও বলেন- মূলত ঈদের আগে শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন তারা। বিশেষ করে অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজার মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে আমি গিয়ে তাদের শান্ত করি “

;অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বলেন-ঈদ উপলক্ষে গত ৭ জুলাই আব্দুল আওয়াল রাজু ফোন করে আমাদের এমপির কার্যালয়ে যেতে বলেন। সেখানে ৭-৮ জন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উপস্থিত হয়। পরে আমাদের অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন ও অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ”

;একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় এমপি আমাদের নিবৃত করেন। এছাড়া আর কোনো ঘটনা ঘটেনি সেখানে।সংবাদ সম্মেলনে গোদাগাড়ী মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।”

;উল্লেখ্য- গত ৭ জুলাই রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর থিম ওমর প্লাজায় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠে, যা গত সোমবার রাতে জানাজানি হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়।’