যুক্তরাষ্ট্রের এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন মডেল লিনসে ডোনোভান। তবে বয়স একুশে পৌঁছানোর আগেই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তিনি। অনুরাগীদের কাছে লিনসের পরিচয় ‘বিকিনি বার্বি’ “
;খোজ নিয়ে জানা গেছে- মেরিল্যান্ড রাজ্যের বাসিন্দা মেরি এবং ভিনসেন্ট ডোনোভানের সংসারে নিত্য টানাটানি লেগেই থাকত। ছোটবেলা থেকে তা টের পেয়েছেন ডোনোভানদের মেয়ে লিনসে। তবে তা সত্ত্বেও মেরিল্যান্ডে জীবনের প্রথম ১৮ বছর কাটিয়েছেন তিনি। এরপর পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য প্রান্তে।”
;লিনসের বয়স যখন ১৮, তখন নিজের শহর ছেড়ে ফ্লোরিডায় পাড়ি দিয়েছিলেন। অল্প বয়স থেকেই মডেলিংয়ের দিকে ঝোঁক ছিল তার। রূপটান করা বা কেতাদুরস্ত পোশাক গায়ে চাপানোরও শখ ছিল। কিন্তু টানাটানির সংসারে সে স্বপ্ন দেখাও বাহুল্য মনে হত তার। তাই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে শহর বদলে ফেলেন লিনসে।”
;ফ্লোরিডায় পা রাখার পর মডেলিং দিয়েই যাত্রা শুরু হয় লিনসের। বিকিনির মতো স্বল্পবাসে নিজের ভিডিও তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন। নীল চোখের মেয়েটির অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তে সময় লাগেনি। বছরখানেকের মধ্যেই লিনসের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যায়। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই লাখ লাখ টাকা আয় করে ফেলেন তিনি।”
;বিকিনি মডেলিং করা ছাড়াও ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকের মতো অ্যাপেও নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন লিনসে। শুধুমাত্র টিকটক অ্যাপেই তার ভক্তসংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার। ফ্লোরিডায় যাওয়ার পর শুরু করেন ন্যুড মডেলিংও। করেছেন ড্যান্স ভিডিও। বিজ্ঞাপনী জগতেও দেখা গেছে তাকে।”
;মিষ্টি হাসির পাশাপাশি পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির লিনসের ব্যক্তিত্বও তখন নজরে পড়তে শুরু করেছে।বিকিনি মডেলিংয়ের দুনিয়ায় লিনসের নাম ছড়াতে বেশি দেরি হয়নি। যদিও ততদিনে নিজের একটি পোশাকি নাম ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। আর সেটা হলো ‘বিকিনি বার্বি’।”
;ওই নামেই বেশি জনপ্রিয় লিনসে। এক সময় চরম দারিদ্র্যে বড় হওয়া লিনসের কাছে আজ সাতটি বাংলো রয়েছে। তবে মডেলিংয়ের জগতে তারকা খ্যাতি পেলেও মা-বাবাকে ভোলেননি তিনি। তাদের জন্যও একটি বাংলো কিনেছেন তিনি।সুইমিং পুলওয়ালা ওই বিশাল বাংলো দেখে লিনসের মা-বাবা চোখ কপালে উঠেছিল “
;লিনসে বলেন- স্বপ্নের বাড়ি উপহার দিয়ে মা-বাবাকে চমকে দিতে চেয়েছিলাম। চার বেডরুম, ছয়টি বাথরুম ছাড়াও ওই বাংলোতে অতিথিদের থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে “
;লিনসে বলেন- এমন বাংলোবাড়ি ঘুরেফিরে দেখে মা-বাবা জিজ্ঞেস করেছেন, ‘এই বাড়িটা আমাদের জন্য কিনেছ?’ এটা ভেবেই ভালো লাগে যে ধরনের জীবন ওদের প্রাপ্য, মা-বাবাকে তাই দিতে পেরেছি! শুধু মা-বাবার দেখাশোনা নয়, নিজের জীবনকেও গুছিয়ে ফেলেছেন একুশে পা রাখা এই মডেল। সাতটি বাংলো ছাড়াও বিলাসের যাবতীয় সামগ্রী রয়েছে তার কাছে।”
;সম্প্রতি ওজ নামে একটি ঘোড়াও কিনেছেন।লিনসে জানান- এখন পর্যন্ত প্রায় ৯২ লাখ টাকার পোশাক কিনেছেন তিনি। প্রসাধনী সামগ্রীর পেছনে খরচ করেছেন প্রায় ৪৭ লাখ টাকা। বিকিনি মডেলিংয়ের ছবি বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ আছে তার। এই বয়সেই তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। “
;এমনি কি আর লিনসের মা-বাবা বলেন- আমাদের মেয়ে বরাবরই অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিল! লিনসে আজও তার শৈশব-কৈশোরের টানাটানি ভোলেননি। বেশ গর্ব করেই বলেন- হতদরিদ্র পরিবারে জন্মেছি বটে, তবে এখন আমি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!.