সোমবার২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 এই রোগটা শত্রুরও যেন না হয়- শাবনূর

;ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর ও তার ছেলে আইজান নেহান এখন করোনামুক্ত। গতকাল বুধবার সিডনি স্থানীয় সময় বিকেলে শাবনূর নিজেই এ খবর জানান। তার ভাষ্য,-আপনাদের দোয়ায় আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ। আমার ছেলেও সুস্থ আছেন।করোনামুক্ত হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করছেন শাবনূর।”

তিনি বললেন-শুনেছি, করোনামুক্ত হওয়ার মাস ২-৩ পর্যন্ত শারীরিক দুর্বলতা নাকি থাকেই। ডাক্তারও বলেছেন খাওয়া-দাওয়া করতে। তাই আপাতত ডায়েট নিয়ে ভাবছি না। খাচ্ছি-দাচ্ছি আর ঘুরে বেড়াচ্ছি।শাবনূর আরও বলেন, ‘বিশ্বাস করুন খুবই বাজে একটা রোগ করোনা। ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাছাড়া জ্বর ও হাঁচি কাশিতে ঘরের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হয়েছে। শত্রুরও যেন এই রোগটা না হয়, এই দোয়াই করি। ”

;আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া তিনি আমাকে ও আমার ছেলেকে সুস্থ করেছেন।উল্লেখ্য, পিঠের ব্যথা অনুভব করার কারণে গত বছর ২৭ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি হাসপাতালে এক্স-রে করাতে যান শাবনূর। সে সময় করোনাসহ আরও বেশ কিছু পরীক্ষাও করান তিনি। হাসপাতালের কাজ শেষে বাসায় আসার পরই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। ”

;এরপর ২৭ ডিসেম্বর আইসোলেশনে চলে যান ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা। পরদিন শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ২৯ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওদিনই ছিল শাবনূরের ছেলে আইজান নেহানের জন্মদিন। সেদিন করোনায় আক্রান্ত শাবনূর ছিলেন হাসপাতালের বিছানায়। আর ছেলে ছিল বাসায়।

হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর শাবনূর জানতে পারেন, ছেলে আইজানেরও করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। টেস্টের পর জানা যায়, সেও করোনা পজিটিভ।চিত্রনায়িকা শাবনূর বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। ”

;২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় সবশেষ কাজ করেন শাবনূর। এটির কাজ অসমাপ্ত রেখে পরিচালক এম এম সরকার মারা গেলে বদিউল আলম বাকি কাজ শেষ করেন। এরপর বেশ কয়েকবার ফেরার কথা বললেও সিনেপর্দায় আর দেখা মেলেনি এই নায়িকার।’