স্টাফ রিপোটার-কারাগার থেকে বের হওয়ার ৫ দিন না পেরুতেই বিএনপি নেতার মৃত্যু। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এহসানুল হক ফটিক না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। শনিবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে মারা যান এই নেতা।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দু’পুত্র তিন ভাই, পাঁচ বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
সদ্যসমাপ্ত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মতলব উত্তরে পুলিশের দায়ের করা একাধিক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১ মাস কারাভোগের পর গত ২১ জানুয়ারি সোমবার জামিনে মুক্তি পান।
পরিবার সূত্র জানায় কারাগারে থাকাবস্থায় তিনি অসুস্থতা বোধ করেন এবং জামিনের পরেই তাকে চিকিৎসার জন্যে ঢাকা প্রেরণ করা হয়। তার মৃত্যুতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, এহসানুল হক ফটিক চৌধুরী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা ছিলেন। তার পিতা গোলাম হোসেন চৌধুরী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে মতলব থেকে ১৯৭৯ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন।
এছাড়া কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতিসহ রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন অতিবাহিত করেন।