রবিবার১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবার চাঁদপুরে লঞ্চে ডাকাতি, পালাতে ব্যর্থ  ১ডাকাত আটক

পুলিশের হাতে আটক ডাকাত বেলায়েত হোসেন

নিজস্ব সংবাদদাতা- আবার চাঁদপুরে লঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে চলাচলকারী এমভি শাহ আলি-৪ লঞ্চে । এ সময় দুটি স্পিডবোট দিয়ে ১৮ জন ডাকাত সদস্য লঞ্চে উঠে অর্ধশতাধিক যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণ, টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

 ডাকাতি শেষে সব ডাকাতরা চলে গেলেও একজন ভেতরে থেকে যায়। ওই সময় যাত্রীরা ওই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আটক ব্যক্তির নাম বেলায়েত হোসেন খান (৩৫)। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের খুরুমখালী গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

লঞ্চের অনেক যাত্রী জানান, আজ সোমবার সকাল ৮টায় শরিয়তপুরের নরিয়া ঘাট থেকে লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে কাঁচিকাটা ও রাজরাজেশ্বর এলাকার কাছে আসলে ডাকাত দল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাচ্চাদেরকে নদীতে ফেলে দিবে বলে হুমকি দিয়ে অনেকের ওপর হামলা করে মোবাইল, টাকা, স্বর্ণসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।

অপরদিকে আটক ডাকাত বেলায়েত ডাকাতির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাকে গভীর রাতে ডাকাতদল মুক্তিপন চেয়ে তুলে নিয়ে আসে। তারা আমাকে অনেক মারধরও করে। এ সময় তারা লঞ্চে ডাকাতি করে আমাকে লঞ্চে ছেড়ে দেয়। তখন যাত্রীরা আমাকে ডাকাত ভেবে মারধর করে পুলিশে দেয়।

লঞ্চের মাস্টার হেলাল উদ্দিন বলেন- হঠাৎ করেই দুই পাশ থেকে স্পিডবোট নিয়ে ১৭/১৮ জন লঞ্চে উঠে আমাদের জিম্মি করে লঞ্চ থামিয়ে রাখে। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সব নিয়ে যায়। তারা লঞ্চের বিভিন্ন অংশ ভাঙচুরও করে।

 চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন- যারা ডাকাতির সাথে জড়িত, তারা খুবই চালাক প্রকৃতির। ডাকাতির সময় আটক বেলায়েত কোনো কিছুই স্বীকার করছে না। পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো আমরা । তিনি আরও বলেন, শীতের এই সময়ে ঘন কুয়াশার কারণে ডাকাতরা বেশি সুযোগ পায় । তবে ইতিমধ্যে সকলের ডাটা আমাদের কাছে চলে এসেছে।  খুব শিগগিরই আমরা ডাকাতির সাথে জড়িত সকলকে আটক করতে সক্ষম হবো। ।