শুক্রবার২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ময়লা ড্রেনের পানিতে ভাসছিল ১০০০-৫০০ টাকার নোট

বাংলা সংবাদ২৪ সংবাদদাতা-– রাজশাহীতে ড্রেনের ময়লা পানিতে টাকা ভেসে যাওয়ার খবরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর রেলওয়ে অফিসার্স মেস ভবনের সামনের ড্রেনে ৫ টাকার নোট থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার নোট পর্যন্ত ভেসে যেতে দেখা যায়।  তবে ভেসে যাওয়া টাকাগুলো নাকি রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের।

সেগুলো পুরোনো কাগজপত্রের ভেতর ছিল। নগরীর শিরোইল এলাকায় সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়। আজ দুপুরে সেখান থেকেই কাগজের সঙ্গে খেয়াল না করে টাকাগুলোও ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, এগুলো দুর্নীতি করে জমানো টাকা। ভয়ে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এ খবর শুনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ড্রেনের কাছে ছুটে যান। পরে তারা টাকার রহস্য খুঁজে পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনে ১০০০, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ ও ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন এবং পরে অনেক মানুষ নেমে পড়েন ড্রেনে। টুলু নামের এক ভাংড়ি বিক্রেতা তার কুড়ানো টাকাগুলো রেখেছিলেন পকেটেই।

তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন। আসলাম নামের আরেকজন জানান, তিনি এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রথমে টাকা কোথা থেকে এলো তা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরে এর রহস্য জানা যায়। রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, আমরা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গেছি। ভাবতেই পারিনি পুরোনো কাগজের ভেতর টাকা থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কাগজগুলো ২০১০ সালের আগের। পঁচে গেছে। পোড়ানোর উপায় নেই। তাই ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ড্রেনে টাকা পাওয়ার খবর শুনে আমরাও সেখানে যাই।

তারপর ঘটনা দেখি। সব মিলিয়ে দুই-তিন হাজার টাকা থাকতে পারে। কিন্তু লাখ লাখ টাকা খবর ছড়িয়েছে ।