== ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণীকে বিয়ের আশ্বাসে একধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুর রহমান। কিন্তু প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ কারণে ভুক্তভোগী তরুণীর গ্রামবাসী তাকে আটকে রাখে ।
আজ বুধবার উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আটকের মাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তবে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি বিয়েতে রাজি হওয়ায় এখন সে প্রস্তুতি চলছে বলে সেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন। কনস্টেবল মাজেদুর রহমান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের এক তরুণীর সঙ্গে একই উপজেলার বাঁশগাড়া গ্রামের মাজেদুরের ছয় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক চলাকালে মাজেদুর ছুটিতে এলেই বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ওই তরুণীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ও গোপনে তার বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করেতন।
পরে ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য মাজেদুরকে চাপ দিলে তিনি তার প্রমোশনের পর বিয়ের কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আবারও মাজেদুর রহমান তরুণীর ঘরে ঢুকে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে সেখানেই থেকে যান। আজ বুধবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটকে রাখে। এ ঘটনার পর পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুরের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তরুণীর পরিবার। কিন্তু পরে মাজেদুর বিয়েতে রাজী হওয়ায় এখন সে প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, দবিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।