নিজস্ব সংবাদদাতা – মো: আক্তার হোসেন পিতা-মো: গোলাম রহমান (মনা বেপারী)। চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ৩নং ওয়াডে তার বাড়ী। শহরে হোটেল রেস্টুরেন্টে কাজ করা আক্তার আট বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন বালিয়া ইউনিয়নের চাপিলার মো: আসলাম শেখের মেয়ে নাছিমাকে।
তার বছর খানেক পর নাছিমা আক্তার দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় এক ছেলে সন্তান। নাম রাখা হয় নূর মোহাম্মদ। তার বয়স এখন ৭/৮। এর পর পর আক্তার স্বাভাবিক কাজ কম ছেড়ে হিজরা পেশা আয়ের সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়।
আর এ কারনে তার পর আস্তে আস্তে ভেঙ্গে যায় তার সেই সংসার। স্থানীয় মেম্বার বা সালিশ গন অনেক চেস্টা করে ও তাকে এ পথ থেকে ফেরাতে পারেন নি। বরং সে দিন দিন হয়ে উঠে আরো বেপরোয়া। তার আগের সে বউ চলে যাওয়ার পর সে আবার পারিবারিক ভাবে বিয়ে করনে তার মূত ভাইয়ের বউ হাসিনা বেগম কে।
এখন সে তার বতমান বউ এবং তার দু ছেলে মেয়ের খরচ বহন করেন কিন্তু কথা থাকলেও আগের সন্তানের কোন খরচ দেয়া বা কোন খোজ খবরই সে রাখে না। এ ব্যাপারে মোবাইলে সে জানান তার আসল নাম আক্তার হোসেন বেপারী কিন্তু পিংকি হিজড়া বা সে কার সাথে কাজ করে, কেন আক্তার হোসেন পিংকি হিজড়া এসব কথা জানতে চাইলে সে ফোন কেটে দেয়।
এ ব্যাপার তার পাসের বাড়ীর সাবেক ইউপি সদস্য রাজ্জাক শেখ বলেন- একাধিক বার তার এ সব কমকান্ড নিয়ে দরবার/ কারবার করা হলেও সে তোয়াক্কা করে না। এমনকি আগে একবার তার মাথার চুল চেছে শাস্তি দেয়া হয়েছিল।
তার পারিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তার এমন কমকান্ডে তারা ও বিরক্ত।
এ ব্যাপারে বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজল ইসলাম মিয়াজি বলেন তার এমন কমকান্ডে এলাবাসিও বিরক্ত। তার বিরোদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া দরকার
খোজ নিয়ে জানা গেছে, সে হিজড়া হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ভাবে চাঁদাবাজি করে। এলাকায় বিয়ে সাধি, জন্ম দিন বা যে কোন অনুস্ঠান হলেই সে বা তার দলবল হাজির নানা কায়দায় মানুষকে নাজেহাল করে টাকা হাতিয়ে নেয়া তাদের কাজ। টাকা না দিলে তারা বিভিন্ন হুমকি দামকি দিয়ে থাকে।♥