শনিবার১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা আতঙ্কে ওসিকে বাসা ছাড়তে চাপ বাড়িওয়ালার

বাংলা সংবাদ২৪ সংবাদদাতা– করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে এমন আতঙ্কে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে এই অভিযোগ করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভুক্তভোগী ওসি (অপারেশন) নাজমুল হক।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ১১ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার জমিদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা রতন নামে এক ব্যক্তির পাকা ভবনে পরিবারসহ ঘরভাড়া নেন। প্রথমদিকে বাসার মালিকের ব্যবহার ভালো থাকলেও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে।  বাসার মালিকের ধারণা, সারাদিনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ডিউটি করার ফলে এই পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে হয়তো সেই বাসায় করোনা ছড়াবে।

এছাড়া সেই বাসায় এর আগে কনস্টেবল আলমগীর ও এএসআই জসিম তাদের পরিবার নিয়ে বাস করতেন। তাদেরকেও নানাভাবে হয়রানি করে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছেন বাড়ির মালিক।
ওসি নাজমুল হক বলেন, দেশে করোনাভাইরাস মহামারিতে রূপ নেয়ার পর থেকে ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য নানাভাবে চাপ দিতে শুরু করেন ওই বাড়ির মালিক।

তারা মনে করে আমি বাড়িতে করোনাভাইরাস নিয়ে এসেছি। এ কারণে তারা আমাদের চাপ প্রয়োগ করে বাসা ছেড়ে দেবার জন্য। করোনাভাইরাস থেকে মানুষদের জীবন বাঁচাতে আমরা যখন কাজ করছি ঠিক তখন বাড়ি মালিকের এমন আচরণ মনে কষ্টে দেয়। এ সময়ে নতুন করে কোথায় ঘরভাড়া পাব? পুলিশ বলে কি বাড়ির মালিকরা আমাদের মানুষ মনে করে না?

তিনি আরও বলেন, মহামারির এই সময়ে জনগণের জন্য আমাদের মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হয় সবসময়। কিন্তু কাজ শেষে বাড়িতে ফিরলে শুনতে হয় বাড়ি মালিকের এমন আচরণ।
সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে দেয়া পুলিশ কনস্টেবল আলমগীর বলেন, করোনার আগে বাড়ি মালিক রতন ও তার স্ত্রী আচরণ স্বাভাবিক ছিল। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই ঘর ছেড়ে দিতে মালিক পক্ষ নানা হয়রানি করে। বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও ওই বাড়ি মালিক দুই পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঘর ছাড়া করেছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বাড়ি মালিক রতনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।