বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক-– করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা সেই প্রমোদতরীর প্রায় ৫০০ আরোহী জাহাজ থেকে তীরে নামা শুরু করেছেন। ডায়মন্ড প্রিন্সেসে এতদিন আটকে থাকা ৫০০ যাত্রীই সুস্থ, তাদের কারও মধ্যে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। প্রমোদতরীটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এর যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।
আজ বুধবার প্রমোদতরীটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ ও জাপানি কর্মকর্তারা ‘অল ক্লিয়ার’ ছাড়পত্র পাওয়া যাত্রীদের জাহাজ ছেড়ে নেমে আসার অনুমতি দেন। যাত্রীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো আলামত না পাওয়ায় বুধবার থেকে তাদের নামার অনুমতি দেয়া হয়। আজ তারা জাহাজ থেকে নামতে শুরু করেছেন। এতদিন পর গন্তব্যে যাওয়ার অনুমতি মেলায় যাত্রীরা খুশি।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে হংকংয়ে নেমে যাওয়া ৮০ বছর বয়সী এক যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রমোদতরীটিকে ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর পর থেকে প্রমোদতরীর প্রায় ৩ হাজার ৭০০ যাত্রীর মধ্যে অন্তত ৫৪২ জন ভাইরাসটির সংক্রমণের শিকার হন। সংখ্যার দিক থেকে চীনের মূলভূখণ্ডের বাইরে এই জাহাজটিতেই সবচেয়ে বেশি লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
আক্রান্তদের শনাক্তের পর জাহাজ থেকে নামিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়। জাহাজটির আরও কিছু যাত্রীর শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও তারা আক্রান্তদের সঙ্গে একই কেবিনে থাকায় তাদের আরও কিছুদিন কোয়ারেন্টিন রাখা হবে।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস যাত্রী হয়েছিলেন বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের লোক। এই জাহাজটি বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ ছড়ানোর উৎস হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। জাহাজে কোয়ারেন্টিন অবস্থার কঠিন পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন যাত্রীরা। প্রথমে তাদের নিজ নিজ কেবিনে পৃথক অবস্থায় থাকতে হয়, পরে তাদের জাহাজের ডেকে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।
চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি। ভাইরাসটি বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে চীনেই দুই হাজার চারজন মারা গেছেন। আর বিশ্বে মারা গেছেন দুই হাজার ৯ জন।