আব্দুল্লাহ আল মানছুর(কুমিল্লা):কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত মুগুজী আব্দুস ছোবহান উচ্চ বিদ্যালয়টি। লাকসাম তোরাব আলী উচ্চ বিদ্যালযের বর্তমান প্রধানশিক্ষক মুগুজী গ্রামের কৃতি সন্তান আব্দুস ছোবহান ২০০১ সালে ৫ জন শিক্ষক ও ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ছোট একটি ঘরে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন।
শিক্ষক ছোবহান খোশবাস ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়াতে তৎকালীন নিজের কেনা ও পৈত্রিক সম্পতিসহ ৭৫ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। বর্তমানে স্থায়ী ৯ জন ও খন্ডকালিন ৩জনসহ মোট ১২জন শিক্ষক দিয়ে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত ৩৯৫ জন শিক্ষার্থীদেও শ্রেণীতে পাঠদান দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক ছোবহান সারাজীবন তার শিক্ষকতার আয়ের সম্পূর্ন অর্থ ব্যয় করেছেন মুগুজী আব্দুস ছোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য। তার একটাই স্বপ্ন ছিল এলাকাটির মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া। সে অনুযায়ী মানসম্মত পাঠদান দিচ্ছেন শিক্ষকরা। সবসময় ভালো ফলাফল করে এ বিদ্যালয় থেকে অংশ নেওয়া এসএসসিপরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীরা।
২০১৯ সালের এসএসসিতে করেছে শতভাগ পাশ। এ বিদ্যালয়েরশিক্ষকদের প্রত্যাশা ভালো সুযোগ সুবিধা পেলে আমাদের শিক্ষার্থীরা বোর্ড সেরা ফলাফলকরবে। গত কয়েকদিন পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরুড়া উপজেলার দুটি উচ্চ বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করার সিদ্বান্ত নেওয়ার মধ্যে মুগুজী আব্দুস ছোবহান উচ্চ বিদ্যালয়টির নাম আসে।
এইবিদ্যালয়টির এমপিও ভুক্ত ঘোষণা হওয়ার কথা শুনে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মাঝে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করায় আমরাআনেক খুশি। আমরা অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম এতাদিন। আমাদের ডিজিটালল্যাব নেই, ভালো ভবন নেই, জরাজীর্ন টিনের ঘরে ক্লাশ করতে হয়।
সামান্য বৃষ্টি হলে বৃষ্টিরপানি ক্লাসে পর্যন্ত আসে, এতে করে পাঠদানে নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদেরভালো একটি ভবন হলে আমরা বা পরিবর্তীতে যারা অত্র বিদ্যালয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য আসবেসেসব শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।
প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন বলেন,আমরা অনেক খুশি বিদ্যালয়টি এমপি ও ভুক্তিকরণ হওয়ায়। তবে আমাদের বিদ্যালয়ে কিছুসমস্যা আছে এগুলো সমাধান করে দিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অনেক সুবিধা হবে।
প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক আব্দুস ছোবহান বলেন, অনেকদিন পর আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমার সারা জীবনের আয়ের সম্পূর্ন অর্থ খরচ করেছি এই বিদ্যালয়টির পিছনে। এখন আমি মরে গেলেও আমি শান্তি পাবো। কারণ আমার অবর্তমানেও বিদ্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ হবে না।আমি চাই খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়ননের পুরো এলাকা শিক্ষার জ্ঞানে আলোকিত হউক।