বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক– গুড়ার গাবতলীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে না জানিয়ে আসামির সঙ্গে আপস করায় এক নারীকে মারধর করেছেন রিপন মিয়া নামে পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে ক্লোজড করা হয়েছে।আহত ওই নারী বর্তমানে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গেল রোববার রাতে জেলার গাবতলী উপজেলার খুপি গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাবতলীর খুপি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মনিরা খাতুন কেমিকে একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইমরান হোসেন উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে ইমরান ওই মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। গেল ১৪ সেপ্টেম্বর গাবতলী থানায় ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ ইমরানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে উভয় পরিবার দুইজনের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে মামলাটি আপস করার উদ্যোগ নেয়। সেই অনুযায়ী গেল ৩১ অক্টোবর আদালতে উভয়পক্ষ আপসের নতি দাখিল করে। সেইসঙ্গে ইমরানের জামিন প্রার্থনা করা হয়। আদালত আসামি ইমরানকে জামিন দিলে, পরদিন তার সঙ্গে মনিরা খাতুন কেমিকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।তবে ওই বিয়ের খবর পাওয়ার পর গাবতলী থানার সাব ইন্সপেক্টর রিপন মিয়া গেল ৩ নভেম্বর মনিরা খাতুন কেমির বাড়িতে যান। স্বজনদের অভিযোগ, সাব ইন্সপেক্টর রিপন মিয়া রাত ১০টার দিকে দরজা ভেঙে মনিরা খাতুন কেমির ঘরে প্রবেশ করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেমি বলেন, সাব ইন্সপেক্টর রিপনকে না জানিয়ে কিভাবে আপস ও বিয়ে হলো তা তিনি বারবার জানতে চেয়েছেন। একপর্যায়ে রিপন মিয়া তাকে কিল-ঘুষিও মারেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনিরা খাতুন কেমিকে দেখতে যান এবং তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।পরে ওসি জানান, নির্যাতনের ওই ঘটনায় সাব ইন্সপেক্টর রিপন মিয়াকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সার্বিক বিষয়ে অবগত আছেন।