রবিবার১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন গাছ লাগাল চাঁদের বুকে!

চাঁদের বুকে প্রথমবারের মতো বীজ থেকে গাছের চারা গজাতে সক্ষম হয়েছে চীন। মঙ্গলবার চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সদ্য চাঁদের বুকে অবতরণ করা চন্দ্রযান চ্যাঙ-৪ এ থাকা তুলা গাছের বীজ থেকে চারা গজিয়েছে। এই প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠে কোনো জীবন্ত কিছু হলো, একে ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণার পথে চরম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
চাঁদের বুকে গাছের চারা গজানোর বিষয়টা দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযান – যেমন মঙ্গলগ্রহে অভিযানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মঙ্গলগ্রহে যেতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই বছর। চাঁদে যদি গাছপালা গজানো সম্ভব হয় তাহলে, নভোচারীরা হয়তো সেখানে তাদের নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপন্ন করতে পারবেন। তার রসদপত্র সংগ্রহের জন্য পৃথিবীতে ফিরে আসতে হবে না।

বিবিসি জানায়, চাঁদে পৃথিবীর বিপরীতমুখী পাশে চ্যাঙ-৪-এর অবতরণই প্রথম কোনো অভিযান। গত ৩ জানুয়ারি এটিকে সফলভাবে সেখানে নামাতে সক্ষম হয় চীন। এতে সেখানকার অনাবিষ্কৃত ভূপ্রকৃতি গবেষণার নানা যন্ত্র রয়েছে।
তুলাবীজ থেকে গজানো গাছের চারা রাখা হয়েছে চন্দ্রযানের ভেতর একটি বন্ধ কনটেইনারে। এখানে একটা বায়োস্ফিয়ার তৈরি করা হবে – যার মানে এমন এক কৃত্রিম পরিবেশ যেখানে একটি গাছ নিজেই নিজের খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে পারবে।
এর আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গাছ গজানো হয়েছে। কিন্তু চাঁদের বুকে থাকা মহাকাশযানে কখনো করা হয়নি।

প্রকল্পটির প্রধান ও চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিউ হ্যাংলং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে জানিয়েছেন, এতে তুলাবীজের পাশাপাশি সরিষা ও আলুর বীজ থেকেও চারা গজিয়েছে। তবে প্রথম চারাটি গজায় তুলার বীজে।
মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে গাছের চারা রোপন থেকে শুরু করে এর জীবন প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা হলেও এই প্রথম চাঁদের বুকে গাছের জীবন সম্ভব হলো বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ।