বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–ঈদের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতমণ্ডিত। ঈদ আমাদের মাঝে আনন্দের বারতা যেমন নিয়ে আসে, তেমনি নিয়ে আসে আল্লাহর নৈকট্যলাভের মহাসুযোগ। তাই ঈদের রাতে জেগে থাকা এবং ইবাদত করার গুরুত্ব, মাহাত্ম্য এবং ফজিলত বহু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
সেসব হাদিসের আলোকেই এখানে উল্লেখ করা হলো ঈদের রাতে ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত। ঈদের রাতের আরেকটি বড় প্রাপ্তি হলো, এ রাতে দোয়া কবুল করা হয়। কোনো দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। বরং আল্লাহতায়ালার দরবারে তা সরাসরি কবুল হয়।
তাই আমরা আমাদের ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে ঈদের রাতে আল্লাহতায়ালার কাছে আমাদের প্রয়োজনগুলো চাইতে পারি। আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমা কামনা, কবরের আজাব থেকে মুক্তি, জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই চেয়ে নিয়ে পরদিন সকালে একেবারে নিষ্পাপ মাসুম শিশুর মতো পবিত্র ঈদের মাঠে আল্লাহর পুরস্কার গ্রহণ এবং প্রতিদান লাভের শ্রেষ্ঠ সুযোগ ।
হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ রাত জেগে থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। সেই পাঁচটি রাত হলো-
এক. জিলহজ মাসের আট তারিখের রাত।
দুই. জিলহজের ৯ তারিখের রাত।
তিন. ঈদুল আজহার রাত।
চার. ঈদুল ফিতরের রাত।
পাঁচ. ১৫ শাবানের রাত।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন পাঁচটি রাত আছে, যে রাতে কোনো দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। রাতগুলো হলো-
এক. জুমার রাত।
দুই. রজব মাসের প্রথম রাত।
তিন. শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত।
চার. ঈদুল ফিতরের রাত।
পাঁচ. ঈদুল আজহার রাত।
হজরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাত জাগবে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। যেদিন (হাশরের দিন) সবার অন্তর মারা যাবে, সেদিন তার অন্তর মরবে না।
বর্ণিত হাদিসগুলোয় ঈদের রাতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাতগুলোর অন্যতম। ওপরে বর্ণিত হাদিসগুলো ছাড়াও আরও অসংখ্য হাদিসে ঈদের রাতে ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, যে দিন মানুষের অন্তর মারা যাবে, সেদিন ঈদের রাতের ইবাদতকারীর অন্তর মরবে না। হাদিসের মর্মার্থ তো এই, কেয়ামতে ভয়াবহ তাণ্ডবের সময় প্রতিটি মানুষের অন্তর যখন হাশরের ময়দানে ভয় আশঙ্কা অস্থিরতায় মৃতপ্রায় হয়ে থাকবে। মানুষের হুশ-জ্ঞান বলতে থাকবে না কিছু।
ঈদের রাতে আমলকারীর হৃদয় তখনও সজীব ও সতেজ থাকবে। সেদিন তার অন্তর মারা পড়বে না। বরং থাকবে সদা প্রফুল্ল।
আজকের রাত আমাদের জন্য, এই দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ লাভ এবং মঙ্গল কামনা করার রাত। সেই সঙ্গে আজ রাত জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মহাসুযোগ প্রাপ্তির রাত। অতচ আমাদের সমাজে এ রাতে তরুন যুবক শ্রেনী বিভিন্ন গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে।