মঙ্গলবার১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাহুবলে মায়ের মৃত্যুতে ৩ সন্তানের মানবেতর জীবন

আজিজুল হক সানু বাহুবল (হবিগঞ্জ)–  বাহুবলে আর্থিক সংকটে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া এক মহিলার ৩ সন্তানের মানবেতর জীবন চলছে। পড়ালেখার খরচ বহনে হিমশিম খাওয়া সহ এক চরম দুর্দিন নেমে এসেছে। তাদের বাসস্থান, বস্রী যেমন- তেমন, পেট ভরে তিন বেলা খাবারও সবসময় জুঠেছে না। অথচ, এতিম সন্তানদের কোটি টাকার সম্পদ লুঠেপুটে খাচ্ছে নামধারী স্বজনেরা।

জানা যায়, বাহুবলের রাঘবপুর গ্রামের রিক্সা চালক আক্কাছ আলী চুনারুঘাটের বালিয়ারী গ্রামের নজির আহমদের মেয়ে ছবুরা খাতুনকে বিয়ে করেন। এরপর দাম্পত্য জীবনে তাদের মাঝে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের মা হন ছবুরা। ছবুরার কোন ভাই না থাকলেও তারা ছিল ৩বোন। এরই মাঝে ছবুরার মা ও বাবা মারা যান।

পরবর্তীতে মৌরশী সম্পদ দাবী করে পিত্রালয়ে তিনি গেলেও বালিয়ারী গ্রামের নামধারী স্বজন চক্র আসকর আলী, আঃ শহীদ ও মুনজই বিবির বাঁধার কারনে বার বার ফিরে আসেন। বহু চেষ্টার পরও সম্পদের মালিক হতে পারেননি। সম্পদগুলো তারা একে অপর বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করে লুটেপুটে খাচ্ছে।

এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কয়েক বছর অসুস্থতায় কাটানোর এক ফাঁকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যুর পর ছবুরার তিন সন্তানের উপর নেমে এসেছে দুর্দশা। তাদের মাঝে তাছলিমা আক্তার ডলি একটি স্কুলের নবম শ্রেণি, আলআমিন ৫ম শ্রেণি ও নুরুল আমিন ৩য় শ্রেনীতে পড়াশোনা করছে।

তাদের স্বপ্ন পড়াশোনা করে বড় হবে। কিন্তু, অভাবের কারনে স্বপ্ন পুরনে হতাশা নেমে এসেছে। আক্কাছ আলী জানান, রিক্সা চালিয়ে কোন রকম সংসারের খরচ চলছে। তাতে পড়াশোনা করানো অক্ষম। সন্তানেরা নানার বাড়িতে কোটি টাকার সম্পদ পাবে। তা সত্বেও স্ত্রী চিকিৎসার অভাবে মরতে হয়েছে।

এখন এতিম সন্তানেরাও সম্পদের মালিক হতে পারছে না। প্রভাবশালীরা একেএকে সম্পত্তি বিক্রি করে লুঠেপুটে খেয়ে চলছে। সম্পদ রক্ষার দাবী জানিয়ে সন্তানেরা দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগনজে অভিযোগ করেও এখনো সুফল পায়নি। ফলে পড়ালেখা করে মানুষের মত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।