শুক্রবার৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিচু খেতে চাওয়ায় দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করলেন বাবা

বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–দুই মেয়েকে লিচু খেতে চাওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা করলেন বাবা। হত্যার পর নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুমে দুই মেয়ের লাশ ফেলে পালিয়ে যান শফিকুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি।
শনিবার (২৫মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ।নিহত দুজন হলো- তাইন (১১) ও তাইবা (৪)। এ ঘটনায় বাবা শফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি একটি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী বলে জানা গেছে। তার বাড়ি মনোহরদীর চালাকচর গ্রামে।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুক্রবার রাতে নরসিংদীতে লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুম থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তারা তদন্তে নামে। প্রথমে নিহত শিশুদের বাবা শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। প্রাথমিকভাবে শফিকুল ইসলামকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এভাবে দুই মেয়েকে হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার জানান, ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে মনোহরদী গ্রামের বাড়ি থেকে দুই মেয়েকে শিবপুর নিয়ে আসেন বাবা শফিকুল ইসলাম। চিকিৎসক না থাকায় তিনি তার সন্তানদের নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরতে নিয়ে যান। ওই সময় তার ছোট মেয়ে তার কাছে লিচু খেতে চায়।

একে তো ঈদ তার উপর লিচু কেনার পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শফিকুল। পরে প্রথমে ছোট মেয়েকে লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুমে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বড় মেয়েকে একই কায়দায় হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ মামলা করেনি। পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।