রবিবার১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে আইসিইউ স্থাপন নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে আহ্বান ডা. দিপুমনির

ফাইল ফটো।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।তিনি লিখেন- চ্যানেল আই এর গত সন্ধ্যার খবর ও টু দ্যা পয়েন্ট অনুষ্ঠানে প্রচারিত তথ্য এবং তার ভিত্তিতে কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট নজরে এসেছে। সে কারনে সত্য তথ্য সবার জন্য তুলে ধরতেই তার এ পোস্ট।-

;চাঁদপুরে আইসিইউ স্থাপনের চেষ্টা করছি অনেকদিন থেকে। কিছুদিন আগে যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চারটি “আইসিইউ বেড” চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জন্য পাওয়া গেছে শুনলাম তখন বিপুল উৎসাহে আইসিইউ স্থাপনের জন্য স্থান ঠিক করে সব ব্যবস্থা করে ফেলতে শুরু করলাম সবাই মিলে। যখন বাক্স খুলে শুধু চারটি বেড, চারটি জাজিম/ম্যাট্রেস ও চারটি সাইড ক্যাবিনেট পাওয়া গেল তখন সবাই একটু অবাক হলাম। কারন আইসিইউ এর জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর, মনিটর, এবিজি মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছাড়া কোন আইসিইউ হতে পারে না।’’

;শিক্ষামন্ত্রী আরও লিখেছেন- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছি। মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন আইসিইউ এর জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি পাঠাবেন। জনবল দেবেন বলেছিলেন- প্রক্রিয়া চলছিলো, আজ আদেশ হয়েছে। সেন্ট্রাল লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজও প্রায় নব্বই শতাংশ হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেলে আইসিইউ চালু করা যাবে। কারও কোন উদ্বোধনের অপেক্ষায় কোন আইসিইউ বসে নেই। পরিবেশিত তথ্য যদি সত্য না হয় তবে তা অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ায়। সকলেই বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবেন এ প্রত্যাশা করি।’’

দিপু মনি বলেছেন-গতবছর করোনার তাণ্ডব শুরুর পরপরই সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে চাঁদপুরের মানুষের জন্য সদর হাসপাতালের ৩০ টি বেডের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট বসানো ও ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো। করোনা শনাক্তকরণের সুবিধা যেন হয় সেজন্যই ল্যাব স্থাপন করা হয়েছিল। কারন সেসময় টেস্টের অপ্রতুলতার কারনে ফলাফল পেতে অনেক বেশী দেরী হয়ে যেতো। যারা এ কাজগুলোতে আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’’

;শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ডা. দিপুমনি আরও বলেন, চাঁদপুরের মানুষ তাদের প্রতিনিধিত্ব করবার সুযোগ দিয়ে যে সম্মান দিয়েছেন, তাদের যে বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করেছেন আমার ওপর, যে অপার ভালোবাসা দিয়েছেন, সে ঋণে আমি তাদের কাছে আবদ্ধ আজীবনের জন্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার একজন স্নেহধন্য কর্মী হিসেবে চাঁদপুরের মানুষ তথা দেশের জনগণের সেবা, দেশের সেবাই আমার ব্রত। কোন বিভ্রান্তিকর তথ্য সে ব্রত থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারবে না কখনো, ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।’’;