যদি কোনো পৌরসভা এর অধীন কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সক্ষম না হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রয়োজনে তা ইউনিয়ন পরিষদে রূপান্তরিত করা হবে। নতুবা পৌরসভার চলমান পরিষদ ভেঙে পুনর্র্নিবাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
;এ ছাড়া পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগেরসব প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অডিট করা হবে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম- সোমবার এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ) রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং হিসাব সংরক্ষণের পদ্ধতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।’’
;সভায় মন্ত্রী আরও বলেন- নিজস্ব আয়ে পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ করা- উন্নয়নকাজে অবদান রাখা এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পৌরসভা সৃষ্টি হয়েছে। এখন যদি এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিজ কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের এবং জনগণকে সঠিক সেবা প্রদানের সক্ষমতা না থাকে, তা হলে পৌরসভা হিসেবে টিকে থাকার যৌক্তিকতা হারাবে। ’’
;বিদ্যমান আইনে তা-ই আছে। এ আইনের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে পৌরসভাকে ইউনিয়ন পরিষদে রূপান্তর করা হবে কিংবা পরিষদ ভেঙে পুনর্র্নিবাচন দেওয়া হবে। তিনি বলেন- প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী অধিকাংশ পৌরসভাই তাদের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে সক্ষম। বেতন-ভাতা পুরোপুরি পরিশোধ করতে পারছে না যেসব পৌরসভা, সেগুলোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ পর্যালোচনা করা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।’’
;তাজুল ইসলাম আরও বলেন- পৌরসভাগুলোয় আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনা হবে। এ লক্ষ্যে এক্সটারনাল অডিটের ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সব প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের ত্রৈমাসিক বিবরণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন মন্ত্রী।মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও তা অনুসরণ না করে পৌরসভাগুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অযৌক্তিক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকলে সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন- এখন থেকে পৌরসভায় আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দিতে হলে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।’’
;মন্ত্রী জানান- প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের অধীন এলাকার জন্য কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং পরিবার পরিকল্পনাসহ অনেক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছে। এসব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী সব কর্মচারী ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত অফিস করলে জনগণ আরও অধিক সেবা পাবেন। তাই এটি নিশ্চিত করতে হবে।’
;সভায় সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এতে উপস্থিত ছিলেন এ বিভাগের সব অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব এবং সংশ্লিষ্ট শাখার উপ-সচিব।;