বুধবার১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনার ঈশ্বরদীতে

গাড়ি বেপরোয়া গতিতে  চালাতে নিষেধ করায় গুলি করে হত্যা

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন

হাসপাোলে নিহত মামুন হোসেনের মায়ের আহাজারী।ছবি সংগুহীত।

পাবনার ঈশ্বরদীতে বেপরোয়া গতিতে লেগুনা চালানো নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে গুলিতে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল (বুধবার) রাত ৮টায় শহরের কাচারীপাড়া পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে “

;নিহত রিকশাচালকের নাম মামুন হোসেন (২৫)। আহত হয়েছেন অপর রিকশাচালক রকি হোসেন (২৬) ও সুমন (২৮) নামের দুই ব্যক্তি। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

;জানা গেছে- গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে এক লেগুনার বেপরোয়া গতিতে চলাচল নিষেধ করেন কড়ইতলার স্থানীয় দোকানিরা। এ নিয়ে লেগুনাচালকের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত দোকানি ও রিকশাচালকদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জেরে লেগুনাচালকের পক্ষে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন তিনটি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে ওই দোকানি ও রিকশাচালকদের ওপর চড়াও হন।”

;একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে রিকশাচালক মামুন ও রকি হোসেনকে গুলি করেন। তার সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

;নিহত মামুনের এক আত্মীয় বলেন- বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ে ঝামেলা হয় লেগুনাচালকের সঙ্গে। পরে লেগুনাচালকের পক্ষে কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন দলবল নিয়ে এসে মারামারি শুরু করেন। এ সময় গোলাগুলিতে মামুন মারা যান।”

;ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন- ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।