বৃহস্পতিবার২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ২৭শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরোনো ছবি।

বিশেষ প্রতিনিধি-

বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সন্ত্রাস, উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে দেশকে মুক্ত রেখে আত্ম সামাজিকভাবে উন্নতি করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন  শেখ হাসিনা।,

;আজ (সোমবার) রাজধানীর মিরপুরে ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।”

;বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গেছেন, সেখানে বলা আছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। বাংলাদেশই একটি দেশ পৃথিবীতে, যে দেশ প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে এবং আমরা তা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি, কারণ যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই বাংলাদেশ এগিয়ে যায় তখনই একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করে।”

;সরকার প্রধান হাসিনা বলেছেন- আমার ও আমার পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে বলেছে এটা কখনো সম্ভব না। অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি তারা বলেছে, এটা সম্ভব না “

;অসম্ভবকে সম্ভব করা এটাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারব, আমরা করেছি।তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনো অনেকে মুচকি হেসেছিল। ”

;আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। আজ গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।”

;সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ব দরবারে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন- ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০ সালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সে অনুসারে সরকার কাজ করে চলেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান যা বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।.