বৃহস্পতিবার১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ২৬শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি৩রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে নিজের মেধা ও শ্রমে সফল যুবক ফারুক

ফসলি জমির আইলে নতুন সবজির মাচা তৈরিতে ব‌্যস্ত যুবক ফারুক। ছবি - বাংলা সংবাদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা–

চাঁদপুরে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং শ্রম দিয়ে করে এক জমিতে একাধিক ফসল চাষ করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির পাশাপাশি সফলতা পেয়েছেন জিএম ফারুক নামে এক যুবক। তিনি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের আলী আরশাদ গাজীর বড় ছেলে।শিক্ষিত এ যুবক গতানুগতিক চাকুরীর পিছে না ঘুরে নিজের মেধা ,পরিশ্রকে সফলতার হাতিয়ার হিসেবে মনে করে এগিয়ে যাচ্ছেন।

এখন স্থানীয় যুব সমাজের আইকন। তার সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আশপাশের কৃষক এব অন‌্য যুবকরাও চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে ওঠছেন। নিজের এক চিলতে কৃষি জমি না থাকলে ও দমে যাননি উদ‌্যমি যুবক ফারুক। সে চিন্তা করতে থাকেন কিভাবে কৃষিকে কাজে লাগিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি কিভাবে মানুষের জন‌্য বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা যায়।

যে চিন্তা সে কাজ, নিজেকে নিযুক্ত করে কৃষিতে শুরু করেন এলাকার পতিত পুকুর এবং এক ফসলি জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ এবং পুকুরের পাড় এবং ঝিলের আইলে কিভাবে একাদিক ফসল ফলানো যায় । ইতিমধ‌্যে যুবক ফারুক কম সময়ে একাধিক ফসল উৎপাদন করে চমক দেখিয়েছেন এলাকাবাসির মাঝে। এখন আশপাশের এলাকা এবং শহর থেকে অনেকে আসছেন তার কাছে বিষমুক্ত সবজি এবং মাছ কিনতে।

এ ব‌্যাপারে জিএম ফারুক বলেন – আমার মতকরে কৃষি জমিকে কাজে লাগাতে পারলে এবং এতে দেশের বৃহৎ বেকার যুব সমাজকে কাজে লাগাতে পারলে কয়েক বছরের মধ‌্যইে দেশকে কৃষি খাদ‌্যে স্বয়ংসম্পুণ করা স্বম্ভব।আমি যা করতেছি সম্পুন নিজ উদ্ব‌্যােগে, যদি সরকারি বা বেসরকারী কোন সয়ায়তা পেলে ভবিষ‌্যতে দেশের চাহিদা মিটেয়ে বিদেশে সবজি রপ্তানি করে দেশের জন‌্য অবদান রাখতে পারবো বলে আশা করি।

জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান রুপম বলেন- যুবক ফারুকের উদ‌্যােগ অবশ‌্যই প্রসংশার দাবিদার । আমরা তার পাশে থেকে আমাদের অফিস তাকে সব ধরনের সহায়তা করবে।