জেলা প্রতিনিধি-
,সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারাসহ সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি জেলার কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে “
;জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ, ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় সড়ক ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুরমা নদীর তীর উপচে পানি সিলেট নগরীর কিছু অংশেও প্রবেশ করেছে। এতে নদী তীরবর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।”
;এদিকে সিলেট সদর উপজেলার খাড়ইল বিলে প্রবল স্রোত ও ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো একজন। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান- সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তিনি আরো জানান- গত রবিবার থেকে সিলেটে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে আসলেও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলায় পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
;সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়- সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সকালে এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।”
;গোয়াইনঘাটে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৮ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটে লোভা নদীর পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিক উদ্দিন জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় এখন পর্যন্ত ১০৯ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”
;এদিকে সিলেট সদর উপজেলার খাড়ইল বিলে রবিবার রাতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে আছকন্দর আলী (৫০) নামের একজনের লাশ সোমবার উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আছকন্দর সদর উপজেলার পুটামারা গ্রামের মৃত রিফাত আলীর ছেলে।জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান জানিয়েছেন নৌকাডুবির ঘটনায় আরো একজন নিখোঁজ রয়েছেন ।