বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক– খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন দেশে করোনাভাইরাস মহামারিতে বিতরণ করা মোট ৫০ লাখ ওএমএস কার্ডের মধ্যে সাত লাখই ভুয়া বলে সংসদীয় কমিটিকে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৪ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে মন্ত্রী এ তথ্য প্রকাশ করেন এবং গতকাল বুধবারের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্যসহ ওই বৈঠকের মিটিং মিনিটস অনুমোদিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ওএমএস কার্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা দেশের সব এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। যে অনিয়ম হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে স্মার্ট কার্ড তৈরির চেষ্টা চলছে।
করোনার কারণে প্রান্তিক ও দরিদ্র লোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, সরকার বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে প্রতি কেজি চাল ১০ টাকায় সরবরাহের জন্য কার্ডের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে এক কোটি করছে।গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ওএমএসের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম ৩০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।পরে, এপ্রিল মাসে বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
ঐ সময় জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশে বলা হয়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোকদের মধ্যে যাদের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড নেই, তাদের তালিকা তৈরি করা হবে এবং তাদেরকে বিশেষ ওএমএস এর মাধ্যমে প্রতি কেজি চাল ১০ টাকায় দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে সে সময় গণমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বিতরণ করা বিপুল পরিমাণ চাল আত্মসাতের খবর প্রকাশ পেয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে চাল আত্মসাতের এসব কথা উঠে আসে ।।