শনিবার১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর মেঘনার চরে হচ্ছে বিশ্ব মানের পর্যটন কেন্দ্র-ব্যয় ৬ হাজার কোটি

নিজস্ব সংবাদদাতা--চাঁদপুরের মেঘনার চরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেড । এই প্রকল্পে জায়গা লাগবে ৬ শ একর।  ৬ হাজার কোটি টাকা এতে ব্যয় হবে।

আর এর জন্যে উপযোগী জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন মৌজার দাসাদী সংলগ্ন মেঘনা নদীর তিনটি চরকে।গত রবিবার দাসাদী সংলগ্ন মেঘনার তীরে প্রায় ২৮০ একর জায়গা নিয়ে জেগে ওঠা চরে প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  অনুষ্ঠানে প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাবের পরিচালক রাজিব আহমেদ।
এ পর্যটন কেন্দ্রে যা থাকবে— বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জাদুঘর, পানির ওপর ভাসমান কটেজ, ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার, ট্রেডিশনাল কটেজ, স্টুডিও এপার্টমেন্ট, পাঁচ তারকা হোটেল, থিম পার্ক, রিভার ক্রুজ, স্পিড বোট, হেলিকপ্টার, কনভেনশন হল, থিয়েটার, মিউজিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো সেন্টার, মার্কেট, জিমনেসিয়াম, ইনডোর এবং আউটডোর গেমস, ক্রিকেট অ্যারোনা, সুইমিং ক্লাব, ওয়াটার রাইড, হসপিটাল, পার্টি সেন্টার, হলি কর্নার, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্টাফ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, এগ্রি ট্যুরিজম, গ্রিন এনার্জি, পর্যটন ডিপ্লোমা কোর্স স্কুল প্রভৃতি।

আয়োজক সংস্থা ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সাগর মাহমুদ জানান, এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের ভ্রমণের ব্যবস্থা ও ২০ হাজার পর্যটকের রাত্রিযাপনের সুবিধা থাকবে। প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেড এবং জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাশ, অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, সাংবাদিক কাজী শাহাদাত, গোলাম কিবরিয়া জীবন, এএইচএম আহসান উল্লাহসহ অনেকে।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ২৬৫ একর, দ্বিতীয় ধাপে ২১০ একর ও শেষ ধাপে ১২৫ একর জমি প্রয়োজন হবে।।