== খুলনার রূপসা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বিউটি টোল প্লাজায় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও একজন পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করেছেন। পুলিশকে মারধরের ঘটনার সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে খানজাহান আলী (র.) সেতুর (রূপসা সেতু) টোলপ্লাজায় ঘটা এ ঘটনায় বিউটিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে ফাতেমা আক্তার বিউটি বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহরে ৫০-৬০ জন নিয়ে খুলনা শহরে একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তারা সিরিয়াল ভেঙে খানজাহান আলী (র.) সেতুর টোল প্লাজার ৬নং লেন দিয়ে টোলের টাকা না দিয়েই পার হতে চাচ্ছিলেন। প্রভাব খাটিয়ে টোল প্লাজায় সিরিয়াল ভেঙে আগে যাওয়ার চেষ্টা করতে গাড়ি থেকে নামেন ফাতেমা আক্তার বিউটি, তার দুই ভাতিজা আহমদ আলী শেখ ও মোহাম্মদ আলী শেখ এবং মনি গাজী নামের অপর এক যুবক।
সিরিয়াল ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেতুর নিরাপত্তারক্ষীরা বিউটি ও তার সঙ্গীদের বাধা দেন। একপর্যায়ে বিউটি সেতুর নিরাপত্তারক্ষী রবিউলকে ধাক্কা দেন। এ সময় অন্য এক নিরাপত্তারক্ষী সেতুতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে ডেকে নিয়ে আসেন। সেতুতে দায়িত্বরত সাইদুর রহমান নামের এক পুলিশ সদস্য এগিয়ে গেলে তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিউটি। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল সাইদুরকে ধাক্কা দেন ও মারধর করেন বিউটি।
সেতু টোল প্লাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, টোল প্লাজায় তিনজন পুলিশ দায়িত্বে ছিলেন। সিরিয়াল ভেঙে গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে এক নারীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। তা দেখে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই নারী পুলিশ সদস্য সাইদুর রহমানকে আঘাত করেন।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে রূপসায় পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় এ দুটি মামলা করা হয়। দুটি মামলাতেই ফাতেমা আক্তার বিউটিসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা ফাতেমা আক্তার বিউটিকে মামলা দুটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।