বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক– আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা। উৎপাদন বাড়াতে জাতীয় মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ও এ সময়ে জেলেদের সহায়তা দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২২ দিন গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও সমুদ্র মোহনায় কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদে জুম্মার নামাজের খুতবায় ইমামেরা মা ইলিশ রক্ষার গুরুত্ব ও আইন ভঙ্গের শাস্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের জলসীমায় আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনভাবেই ইলিশ মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। সোমবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের এই প্রজনন সময়ে কোনভাবেই মা ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হবে না। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন কোন নদীতেও মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। আরও বলেন, কোন নৌকা বা জাহাজকে ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে। বিদেশ থেকে কোন মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান এলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।
রেজাউল করিম বলেন, এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়েছে। ইলিশের আকার ও স্বাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ইলিশ মাছ একটা সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, সেই ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, মাঠ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করায় এই সফলতা লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় আমাদের কর্মসূচি থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রি করতে পারবে না তাদের আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের একজনও যাতে খাদ্য সংকটে না থাকে।
তিনি আরো জানান ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার বরফ কল খুলতে দেওয়া হবে না।