বুধবার১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করণা চিকিৎসায় আশার আলো”একের ভিতর চার!”

আয়ুর্বেদিক ,হোমিওপ্যাথিক , এলোপ্যাথিক ইউনানী । হারবাল যেনো একের ভিতর চতুর্দিকে সমাধান। একের ভিতর চার!

অংক, বাংলা, ইংরেজি সমাজ, বিজ্ঞান, একের ভেতর ৫ অথবা একের ভিতর ছয় অথবা একের ভিতর তিন এরকম অনেক গাইড বই ছোটবেলায় ছাত্রছাত্রীরা পড়ে। পঞ্চম শ্রেণীর উত্তর দশম শ্রেণি পর্যন্ত এরকম গাইড বই খুব ভালো চলে। একটি বইয়ের মধ্যে সব গান শেয়ার খারাপ কি? দামেও সস্তা!কয়েকদিন আগেই পঞ্চম শ্রেণীর গাইড কিনলাম একের ভিতর ছয়!

ফলিকট্রনিক মেডিসিন। জীবন রক্ষাকারী মহাঔষধ। অনেকে হয়তো ভাবছেন প্রাণঘাতী করোনার ঔষধ নেই, ডাক্তার নেই, টিকা নেই ,এখন আবার গাইড বই পড়ে কি লাভ? গাইড বই পড়তে হবে না গাইড বই এর মতই একটি হারবাল আমাদের দেশে করণা থেকে অনেকটাই রক্ষা করছে।সেটা হলো

এক: মারামারি, গোলমাল, খুন ,ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি ,দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।

দুই:জন-সমাগম হলে করোনা হবে। লোকজনকে ঘরে রাখছে ।আবার ঘরে থাকলে মানুষ না খেয়ে মরবে। সেজন্য খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।

তিন: মারা গেলে কেউ ধরে না মৃত লাশ যেখানে-সেখানে ফেলে চলে যায়। এরা সেটা ধরছে জানাজা করছে।

চার: রক্তের কেউ কবর দেয় না। এরা কবর দিচ্ছে। মানুষের শেষ চাওয়া টা এরাই একমাত্র করছে।

দেশের মানুষ এতদিন এদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেছে। কথায় কথায় ঘুষখোর বলে নিজের উদ্দেশ্য সাধন কল্পে বলির পাঠা বানিয়েছে। ঢালাওভাবে অপরাধী চক্র এদের সেবাকে সাধারণ মানুষের নিকট প্রদর্শিত হতে দেয়নি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তারাও সেটা উত্তোলন করে ঔষধ বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তারা প্রতিটি থানায় থানায় অবস্থান করে স্ত্রী-সন্তান পরিবারকে দূরে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শুধুমাত্র দেশপ্রেমকে বুকে ধরে দেশের মানুষের পাশে হারবাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।আপনজনদের খাবারের খোঁজ না নিয়ে দেশের মানুষের খাবার পৌঁছে পৌঁছে দিয়ে এলোপ্যাথিক ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করছে।

চাকুরী জীবনে অনেকেই তার বাবা মা ভাই বোনদের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এখন তারা আমার আপনার জানাজা নয় কবরেও মাটি দিচ্ছে। এর চেয়ে ইউনানী চিকিৎসা আর কি হতে পারে।

আসলে এই চারটি কাজ করছে ইতিহাস-ঐতিহ্য চড়াই উতরাই পার হওয়া বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ এখন একের ভেতর চার। সস্তা দামে কেনা গাইড বই এর মত জীবন চলার মহা ঔষধ এবং প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচার বর্তমান ভ্যাকসিন।

লেখক- মোঃ ইমাউল হক, পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক
ইন্টেলিজেন্স এন্ড মিডিয়া সেল, ১৪, এপিবিএন, কক্সবাজার।