বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক– আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় খোলা থাকবে হাসপাতাল ও জরুরি সেবা। আজ সোমবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ সময় অফিস আদালতের কাজ অনলাইনে করার আহ্বান জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলোর হলো আগামী ২৬ মার্চ যে সরকারি ছুটি তার সাথে মিলিয়ে ২৭, ২৮ দুদিন যে সাপ্তাহিক ছুটি আছে এর সাথে সরকার ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ২০২০ সালের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
তার সঙ্গে ৩ ও ৪ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও এই বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি যেসব সেবা আছে তার জন্য এগুলো প্রযোজ্য হবে না। করোনাভাইরাস বিস্তৃতির জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, তারা যেন এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে না আসে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধক্রয়, চিকিৎসার জন্য বা মৃতদেহ সৎকার এই জাতীয় জরুরি বিষয় ছাড়া যেন বাইরে না আসে। ইতিপূর্বে আমরা যখন স্কুলগুলো বন্ধ দিয়েছিলাম, আমরা দেখেছি বেশকিছু সংখ্যক পরিবার বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র গিয়ে ভিড় করেছে। পরবর্তীতে আমাদের ইন্টারফেয়ার করে তাদেরকে ফেরত নিয়ে আসতে হয়েছে।
এই সময় যদি কোনো অফিস-আদালতের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে হয়, তাহলে তাদেরকে অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে। অফিস সময়ের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবে তারাই অফিস খোলা রাখবে বলেও জানান সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবে তাদেরকে অবশ্যই করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার থেকে মুক্ত থাকার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেই গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। গাড়িচালক এবং সহকারীগণকে অবশ্যই মাস্ক এবং গ্লাভস পরাসহ পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এছাড়া আগামীকাল ২৪ মার্চ ২০২০ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য নিয়োজিত থাকবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ তাদের নিজ নিজ এলাকার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের এই বিষয়ে আইন অনুযায়ী রিকুইজিশন দিয়ে তাদের সহায়তা গ্রহণ করবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।