বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক– বিয়ের পরেই স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এরপর ৪৫ দিনের মাথায় স্বামী ট্যাবলেট খাইয়ে স্ত্রীর গর্ভপাত করান। এতে ওই নববধূ এক মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এরপর পুলিশ অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে স্বামীকে ও ধর্ষণের দায়ে সাবেক প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের কাদেরপুর গ্রামে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ওই গৃহবধূর স্বামী সাদ্দাম হোসেন (২২)। তিনি কাদেরপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে গ্রেপ্তার প্রেমিক হলেন সোহাগ (১৮)। তিনি উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ শিলের খাল নামক গ্রামের খয়বার আলী ছেলে। এ নিয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার সোহাগের সঙ্গে গেল পাঁচ বছর ধরে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গেল বছরের দুই ফেব্রুয়ারি সোহাগ তাকে নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর আরও বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু পেটে বাচ্চা আসার বিষয়টি ভিকটিম অনুমান করতে পারেননি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন।
এদিকে দেড় মাস আগে ভিকটিমের বাবা-মা সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে দেন। বিয়ের পরেই স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে গেল ১৯ জানুয়ারি রাতে স্বামী তাকে চারটি ট্যাবলেট খাওয়ান। এরপরই ওই নববধূর পেটে ব্যথা শুরু হয়।
পরদিন ২০ জানুয়ারি তাকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে একটি মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে মৃত কন্যা সন্তানটিকে স্বামীর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।