বুধবার১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ১টি সেতুর জন্য ভোগান্তিতে ২ উপজেলার মানুষ

আব্দুল্লাহ আল মানছুর(কুমিল্লা):- মাত্র একটি ব্রিজের অভাবে দুই উপজেলাবাসীর কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। কুমিল্লার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া নদীর উপর ওই ব্রিজটি নির্মানের আহবান জানান দুই উপজেলাবাসী।

গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত নড়বড়ে কাঠের ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণসহ কোমলমতি শিশুরা চলাচল করলেও কোন যান চলতে না পারায় মালামাল পারাপারে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই । জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া নদীর দু’পাড়ের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সংযোগ সড়ক যা নাঙ্গলকোট উপজেলা হইতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত অন্যদিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার মোড়েশ্বর, মৌকারা, পরকরা ও চারিতুপা গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজ এটি।

দীর্ঘ বছরেও এটি নির্মানে কোন উদ্যেগ নেয়া হয়নি। প্রথম দিকে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এখানে বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হয়। পরে ২০১১ সালে স্থানীয়রা ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে কাঠের পুল নির্মান করেন। এতে জনসাধারণের যাতায়াতসহ শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতের পথ সুগম হলেও ব্রিজের দু’পাশে কোন রেলিং না থাকায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে আহত হয়েছে কয়েক শিক্ষার্থীসহ অনেককে।

বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পার্শ্ববর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াতে ব্যবহৃত হয় এই ব্রিজ। প্রায় চার’শ ফুট দীর্ঘ নড়বড়ে এই ব্রিজ হয়ে স্থানীয় মহেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়ুরা উচ্চ বিদ্যালয়, তুলাতুলি উচ্চ বিদ্যালয়, কনকাপৈত নুর মিয়া ডিগ্রী কলেজ ও কনকাপৈত উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন।

তবে এই ব্রিজটি নির্মানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে দাবী করে নাঙ্গলকোট উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরীর বলেন, ব্রিজটির বিষয়ে আমরা অবগত।