ডেস্ক নিউজ– দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের একটি চামড়ার কারখানায় ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আহতদের মধ্যে আরও মৃত্যু বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করেছেন দমকল কর্মীরা।
আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতে বহুতল ওই কারখানায় আগুন লাগে। কারখানার ভিতরে অনেকে ছিলেন। ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পেয়ে পুলিশ ও দমকলে খবর পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীই উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৫টা ২২ মিনিটে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৫টি ইউনিট। পরে আরও ১৫টি ইউনিট পাঠানো হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানার ভিতরে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করে দেখছেন দমকল কর্মীরা।
দমকল সূত্রে খবর, অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে দমবন্ধ হয়ে। আহত ও অসুস্থ অবস্থায় অনেককে উদ্ধার করে লোক নায়ক জয় প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। আশঙ্কাজনক আরও বেশ কয়েকজন।
দমকলের উপ-মুখ্য কর্মকর্তা সুনীল চৌধুরী বলেন, ৬০০ বর্গফুট এলাকার ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। ভেতরে খুব অন্ধকার ছিল। ভেতরে স্কুল ব্যাগ ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
দিল্লি দমকলের প্রধান অতুল গর্গ বলেন, আমরা ৫০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অধিকাংশই অতিরিক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানান, দিল্লির আনাজ মাণ্ডির রাণী ঝাসি রোডে অবস্থিত ওই বহুতল ভবনে চামড়া কারখানা, প্যাকিং দ্রব্যের কারখানা ও প্লাস্টিকের কারখানা ছিল। ওই কারখানায় রাতে গাদাগাদি করে ঘুমান প্রচুর শ্রমিক। তাদের অনেকেই আশপাশের কারখানাতেও কাজ করেন। ভোরের বেলায় আগুন লাগায় শ্রমিকরা কেউই সেভাবে টের পাননি। ঘুমন্ত অবস্থায় দমবন্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়। ঘিঞ্জি গলিতে বহুতল ভবনটি হওয়ায় উদ্ধার কাজে ।
ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে সব রকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে মাথাপিছু ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সূত্র : ভারতীয় সংবাদ মধ্যম।