আব্দুল্লাহ আল মানছুর(কুমিল্লা):- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের উত্তর বিজয়পুর বাজারে ডিলার জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ টাকা কেজির সরকারি ১২৫ বস্তা চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হেলালউদ্দিনের সার্বিক নির্দেশনায় সহকারী পরিচালক এইচ.এম আক্তারুজ্জামান সঙ্গীয় দুদক সদস্যদের নিয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুরের দূর্গাপুর গ্রামে সরকারি চাল ডিলার জামাল হোসেনের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের বিষয়ে দুদক কুমিল্লা বিভাগের সহকারী পরিচালক এইচ.এম আক্তারুজ্জামানের সাথে কথা বললেতিনি জানান-গোপন সংবাদের ভিক্তিত্তে গতকাল বৃহস্পতিবার ডিলার জামাল হোসেনের দোকান ও অফিসে অভিযান পরিচালনা করি।
অভিযান পরিচালনার দশ মিনিট পূর্বেই দুদক ঘটনাস্থলে আসছে এমন তথ্য পেয়ে ১২৫ বস্তা সরকারি চাল ও অসহায় হতদরিদ্রদের খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত ২৮২টি কার্ড আত্মসাৎকারী জামাল হোসেন পালিয়ে যায়। এদিকে ডিলারের আওতাধীন ৬০০ কার্ডধারী চাল গ্রহন সদস্যদের মধ্যে ২৮২টি কার্ড জামাল হোসেনের চেম্বার হতে জব্দ করেন কুমিল্লা’র দুদক কর্তৃপক্ষ।
এ কার্ড গুলো গ্রাহকের কাছে সংরক্ষণ না রেখে সদর দক্ষিণ উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত.আলী আহম্মদের পুত্র চাল ডিলার জামাল হোসেন নিজের কাছেই হতদরিদ্রদের র্কাড অবৈধ ভাবে সংরক্ষণ রাখতো। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপি অভিযান পরিচালনা করেন দুদক কুমিল্লা।
ঘন্টা ব্যাপি অভিযান পরিচালনা করার পর চাল আত্মসাৎকারী জামাল হোসেনের গোডাউন হতে কার্ডধারী হতদরিদ্রদের ১২৫ বস্তা চাল পাওয়ার তথ্য দিয়েছেন দুদক। ১২৫ বস্তা চাল গত নভেম্বর মাসে দরিদ্রমাঝে বিতরন না করে গোডাউনে সংরক্ষণ রেখে ডিলার জামাল হোসেন বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে বিক্রয় করার অভিযোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ভোক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কেয়াম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান- সরকারি চাল আত্মসাৎ করার বিষয়টি খুবই দু:খ জনক, তবে অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দুদক কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছি। দুদকের অভিযানে বারপাড়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে স্বস্তি নেমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জমিলা খাতুন(৪০) বলেন-আমরা চাল সঠিক ভাবে না পাইলে ডিলার জামালকে বললে তিনি বলেন-সরকার কি আমায় চালের জমি দিয়ে রাখছে নাকি, যে কারনে তোমাদের চাল দিবো। অনেক দিন ধরে চাল পাই না জামাল হতে, এখন কি করে তাহার গোডাউনে ১২৫ বস্তা চাল মিললো।
সরকারি চাল আত্মসাৎকারীর বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লার উপপরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন-দুদক আইনে চাল আত্মসাৎকারী জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হইবে। কোন ক্রমেই কুমিল্লা জেলায় সরকারি চাল কেউই আত্মসাৎ করতে পারবে না। ভবিষৎতেও আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে অন্যঅন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন-সহকারী পরিদর্শক আনোয়ারুল মাসুদ, এমদাদুল হক, বারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ।