শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ক্যাপুসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এ কর্মসূচি শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, কেন নিম্ন মানের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এলো, কোথা থেকে এলো?
এ প্রশ্নের জবাব এসেছে খোদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানের কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, “মামলা করে ভারতীয় একটি অখ্যাত কোম্পানির কাছ থেকে নিম্নমানের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।”
শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে কিশোরগঞ্জে সরবরাহ করা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মামলা করে নিম্নমানের ওই ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। সরবরাহ করা এসব ক্যাপসুল কৌটার সঙ্গে লেগে আছে। আলাদা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ কোম্পানির কোনো সুনাম নেই। মামলা করে তারা আমাদের এ ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে। লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন এ রকম হলো পরীক্ষার পর তা বলা যাবে। তবে দেশের কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই।”
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভিটামিন এ ক্যাপসুলে শিশুদের যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, এ জন্য আপাতত এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে শিগগিরই এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে।”
এ সময় জেলা প্রশাসন সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামিল, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, জেলা ২৫০ শয্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে উপ-পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজাল, জেলা বিএমএর সভাপতি ড. মাহবুব ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল ওয়াহাব, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মূলত রাতকানা রোগ প্রতিরোধের জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এ ক্যাপসুল কেনার কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে একটি দেশি ওষুধ কোম্পানি সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছিল। কিন্তু ওই কার্যাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যায় অ্যাজটেক নামে ভারতীয় একটি কোম্পানি। আদালত ওই ভারতীয় কোম্পানিকে সরবরাহের কাজ দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে লাল রঙের এ ক্যাপসুল সরবরাহ করে আসছে কোম্পানিটি।