বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স– ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী, জীবন খেলায় হারাইলাম সবই- সোহেল চৌধুরীর লেখা গানটি সম্রাট গেয়েছিলেন যুবলীগের বনভোজনে ।গত বছর কেরানীগঞ্জের একটি রিসোর্টে সে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সভাপতিসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রভাবশালী যুবলীগের এই নেতার গানটি গতকাল ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যমে এই নেতার শেষ পরিণতি তার গাওয়া গানের মধ্যেই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
অতি সম্প্রতি ক্যাসিনো কাণ্ডে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হন দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। টেন্ডার মোগল জি কে শামীমকেও র্যাব আটক করে এফডিআর ও নগদ মিলে দুশো কোটি টাকাসহ।
নামিদামি বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে তছনছ করে দেওয়া হয় বিলাসী জুয়ার কারবার। মূলত খালেদ ও শামীম আটক হওয়ার পরই ব্যাপকভাবে প্রচার হতে থাকে সম্রাটের নাম।
ঢাকা শহরের ক্লাব ও হোটেল মিলে প্রায় ১৭ স্পটের ক্যাসিনোর মূল হোতা সে। এর বাইরে রয়েছে টেন্ডার ও চাঁদার লম্বা তালিকা।নিজস্ব বাহিনী ও শীর্ষ নেতাদের আস্থাভাজনের কারণেই কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে সম্রাট অভিযানের শুরুর দিকে কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।
সেখানে পাহারায় থাকে কয়েকশ নেতাকর্মী। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে কয়েকজন এমপির সঙ্গে স্ত্রীসহ আলোচিত সম্রাটেরও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। এ সময় দেশ থেকে পালানোর চেষ্টাও তিনি করেছিলেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু তার আগেই তাকেসহ বেশি কিছু ব্যক্তির প্রতি দেশ ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
প্রশাসন থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সম্রাট তাদের নজরদারিতে রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের সবুজ সংকেত পেলেই তাকে আটক করা হবে। কিন্তু সর্বশেষ গতকাল তার গ্রেফতারের বিষয়টি বিভিন্নভাবে সামনে আসে।
আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী ও নিবেদিত নেতা সম্রাটকে ঘিরে ঢাকায় যুবলীগের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়। শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতিও পান।
ঢাকার যে কোনো কর্মসূচি সফল করতে অগ্রণী ভূমিকাও রেখেছেন তিনি, কিন্তু আজ জীবন খেলায় তার পাশে কেউ নেই। পরিস্থিতির কারণে কোনো নেতা তার পক্ষে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না। তার গাওয়া গানের মতোই বুকে জমাট বাঁধা অভিমান নিয়ে নিঠুর নিয়তি মেনে নিতে হবে তাকে।