সোমবার৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দুই পিকআপ ভর্তি টাকা !

বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার দুই দিন পর দুই পিকআপ ভর্তি টাকা গেছে চট্টগ্রামের দিকে! গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই টাকা কোথায় গেছে, কার টাকা, এখন কী অবস্থায় আছে- সব কিছু উদঘাটনের চেষ্টা করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় দুর্নীতিবাজ নেতারা এখন বেকায়দায়। এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এটা তাদের ধারণাতেই ছিল না। তাই অনেকে বস্তায় ভরে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে।

সম্প্রতি একজন প্রকৌশলী কয়েক বস্তা টাকা তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখতে যান। কিন্তু ঐ আত্মীয় রাখতে রাজি হননি।জানা গেছে, অবৈধ টাকা রাখার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, দুর্নীতি, মাদক, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা। কয়েক শত কোটি টাকা নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন।

সূত্র জানায়, উল্লিখিত দুই পিকআপ ভর্তি টাকা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া কিংবা এমন এক নেতার হতে পারে যার নামের আদ্যক্ষর ‘স’। গোয়েন্দারাও এমনটি ধারণা করছেন। সম্প্রতি অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও ‘স’ আদ্যক্ষরের ঐ নেতার টাকা সবচেয়ে বেশি।

রাজনীতির নামে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, পেশিশক্তির প্রয়োগসহ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় চলছে শুদ্ধি অভিযান।

অনুশন্ধান জানায়, দুর্নীতিবাজরা সিংহভাগ টাকা পাচার করেছেন ব্যাংককে অবস্থানকারী চট্টগ্রামের শাহীন চৌধুরী নামের হুন্ডি ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারির মাধ্যমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই নাম। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির কর্মকর্তা শাহীন চৌধুরীর মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। শুধু এই সরকারের আমলে নয়, বিগত সরকারের আমলেও একই কায়দায় শাহীন চৌধুরীর মাধ্যমে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও আবুধাবিতে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এ ধরনের তথ্যও বেরিয়ে আসছে।