বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স- ঢাকা সাভারের আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে কবির হোসেন সরকার যিনি অনেক দিন ধরে রয়েছেন এ পদে। এই কমিটির মেয়াদ পার করলো দুই বছর। কবির হোসেনের নিজস্ব কোন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। কিন্তু তিনি কমিটিতে যোগ দেবার মাত্র দুই বছরের মধ্যে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি যাতে ব্যয় হয়েছে কয়েক কোটি টাক।
তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে কিনেছেন বিলাসবহুল গাড়ি। তিনি যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে কমিটিতে আসার পর এবং পূর্বে চাঁদাবাজি, জমি দখল, পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে, এগুলো নিয়ে তার নামে রয়েছে ৯টি মামলা।
কমিটি গঠনের আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি থানায় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক তার প্রভাব কিছুটা বেড়ে যায়। তখন আশুলিয়া ও কাশিমপুর থানায় সন্ত্রাসী হমালা, ঝুট ব্যবসা দখল, কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজির ও জমি দখললের অভিযোগে দায়ের হয় আরও চারটি মামলা। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে দুটি মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠান।
কমিটিতে আসার পর গত দুই বছরে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। থানার একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, কবির সরকারের কোনও ব্যবসা নেই। কিনেছেন প্রায় দেড় কোটি টাকা দামের গাড়ি। নিজ এলাকায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে একটি ডুপ্লেস বাড়ি তৈরি করছেন তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই বাড়ি নির্মাণে ১০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় জন্ম কবির সরকারের। এই এলাকাতেই তিনি আলিশান বাড়িটি তৈরি করছেন। তিনি নিজে কাশিমপুর এলাকায় বাস করলেও আশুলিয়ার ঠিকানায় নিজের ভোটার আইডি কার্ড করেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৩ সালে নাশকতা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন বাবুর সঙ্গে কবির সরকারকেও আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায়ও তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কবির হোসেন সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ’আমি বর্তমানে দলের অভ্যন্তরীন রজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একটি মহল আমার সৎ কর্মকান্ডের প্রতি হিংসার বশবতী হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।