বুধবার১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অগ্নিকাণ্ডের সময় যে দোয়া ও আমলে নির্দেশনা করেছে রাসূল সা.

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে । ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–দেশের বিভিন্ন স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আগুন লাগে। চলতি বছর ঢাকাতে দুটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড সংঘঠিত হল। কয়েকদিন আগেই পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষ শহিদ হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) আগুন লাগল বনানীর বহুতল একটি ভবনে। এভাবে প্রায় প্রতিনিয়তই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোনো না কোনোভাবে ছোট-বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছেই।

আগুন লাগার পর বিভিন্ন উপায়ে মানুষ আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে মুসলমনাদের সব কাজ ও সমস্যার সমাধান ইসলামে প্রদত্ত হয়েছে।

হতাশ না হয়ে আগুন নিভানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি কিছু দোয়া ও আমলে নির্দেশনাও প্রদান করেছে ইসলাম।

একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা তাকবির দাও। কারণ তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি, হাদিস নং: ১/৩০৭)

তাকবির হলো- আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। এর অর্থ : আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আগুন যত প্রলয়ঙ্করী হোক; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা: ৫/১৮৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ হয়েছে, ইয়া না-রু কু-নি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম। অর্থ : ‘হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৬৯)

পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত রয়েছে, যেটি পড়লে আগুন নেভাতে প্রভাব পড়বে এবং আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ হয়ে যাবে। আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিমকে (আ.) আগুন যেন স্পর্শ না করে, সে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালা।

উপরোক্ত আমল ছাড়াও আগুন লাগলে বিভিন্ন বর্ণনায় আজান দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।