সংবাদ দাতা বাংলা সংবাদ২৪ -ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। কেউ ভোট দেয়নি, তাই ভোট দিলেন পোলিং এজেন্ট। রোববার বেলা ১১টার পর্যন্ত কোনো ভোটার ভোট দিতে না যাওয়ায় প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট একটি ভোট দিয়ে দেন।
এ কেন্দ্রে ৩ হাজার ১০০ ভোটার রয়েছে। তৃতীয় ধাপে রোববার ঝিনাইদহের চার উপজেলায় নিরুত্তাপ ভোটগ্রহণ চলছে। প্রায় তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কোনো কোনো কেন্দ্রে একজন ভোটারও ভোট দেয়নি।
রোববার ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু, শৈলকুপা ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। চার উপজেলার ৪২৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫৫ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন অফিস। অন্যদিকে শৈলকুপা উপজেলার ১২০ কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঝিনাইদহের চার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটের সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১ হাজার ২১৯ পুলিশ সদস্য, এপিবিএন (পুলিশ) ৮০ জন, র্যাব সদস্য ৬৫ ও ১২ প্লাটুন বিজিবি এবং ৫ হাজার ৭৬ আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
এ ছাড়া একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ছয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৮টি মোবাইল টিম এবং ৩টি স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস।
কালীগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতপুর কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪০৪ ভোটের মধ্যে ১১টা পর্যন্ত ৬টি ভোট কাস্ট হয়েছে। কালুখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র ৪০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৯৭৮ ভোট। এর মধ্যে কয়েকটি বুথে একটি ভোটও পড়েনি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আরাপপুর নিউ একাডেমি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় মাত্র ১৮ ভোট পড়েছে। এখানে ভোটার রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০।
এদিকে শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় ঘণ্টায় ৩ হাজার ১২৭ ভোটের মধ্যে মাত্র দুজন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
জেলার হরিণাকুণ্ডুসহ সব উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে একই চিত্র দেখা গেছে। তবে এসব কেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে তবে ব্যতিক্রম শুধু ভোটার নেই।