মঙ্গলবার২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ৩রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি১১ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দখলীয় জমি,আত্মসাৎকৃত টাকা, বালিয়ায় আ,লীগ নেত্রীর অট্রালিকা

জমি দখলের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

অন্যের দখলকৃত জমিতে, এলাকার মানুষের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে আত্মসাৎ কৃত টাকায় ঘর নির্মানের অভিযোগ রয়েছে,  চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ শারমিন ও তার পরিবরের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে দেখা যায় বালিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্স্থ শেখ বাড়িতে গত সরকারের মুজিব বর্ষের নামের বরাদ্দ কৃত একটি ঘর নির্মান করেন ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের শারমিন। কিন্তু নামে মুজিব বর্ষের ঘর হলে ও বাস্তবে  দেখা যায় তিন তলা ফাউডেশান নেয়া বিশাল অট্রালিকা। সরকারী ২,৫৯,৫০০.০০ টাকা বাজেটের মুজিব বর্ষের ঘরে আনুমানিক ব্যায় ত্রিশ লাখ। ভবন নির্মানের বাকি টাকা কোথা থেকে এলো।

অনুসন্ধানে জানা যায় ভয়ংকর এক প্রতারনার জাল বিস্তার করেছেন নেত্রী শারমিন।এলাকার মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে সমবায় সমিতির  নামে হাতিয়ে নেয় প্রায় বিশ লক্ষ্য টাকা। পথে বসিয়ে দেয়া হয় এলাকার অনেক মানুষকে।একই এলাকায় সাধারণ মানুষের লোকজনকে সঞ্চয়ের কথাবলে টাকা কালেশান করেন আ,লীগ নেত্রী শারমিন,  টাকা নেয়া পযন্তই শেষ, অফিসে জমা না দিয়ে ভরেন নিজের পকেটে, কৌশলে  নানান সময়ে অফিসের অডিটের নামে পাশ বই,রিসিট অফিসে মিলানোর নামে কৌশলে অনেকের ডকুমেন্টস ও সে নিয়ে যায়।টাকার জন্য চাপ দিলে একেকজনকে একেক ভাবে হুমকি দেয়া হয়, কাউকে নির্যাতন মামল।, যৌন হয়রানি,  কাউকে লাঠিয়াল দিয়ে মারধরের  হুমকি দেয়া হয়।

সমিতিতে সঞ্চয়ের নামে হাতিয়ে নেয়া  ভূক্তভোগীরা হলেন – কালাম গাজী ১৫০০০,টাকা শাজাহান গাজী ৮০০০০, ফিরোজ গাইন ৮০০০০টাকা, মুনসুর গাইন ৬০০০টাকা,জলফু গাইন ৬০০০,টাকা মমেনা বেগম ৭০০০ টাকা বিল্লাল গাজী ১৬০০০ টাকা আনছুর গাইন ১২০০০ টাকা,  মোস্তফা শেখ ৬০০০, আমির শেখ ৭০০০ টাকা মান্নান  পাটওয়ারী১২০০০ টাকা, হারুন পাটওয়ারী-৬০০০ টাকা, হপিয়া বেগম ২৫০০০ টাকা, অনেক মহিলা গোপনে স্বামীর অজান্তে শারমিনের সমিতিতে টাকা রেখে প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না,  এ প্রযন্ত তথ্যে সব মিলিয়ে প্রায় বিশ লক্ষ্য টাকা আত্মসাৎের খবর পাওয়া যায়।

এখানেই শেষ নয়   পাচ সূতা রড দিয়ে নির্মিত বহুতল ফাউন্ডেশান দেয়া  ভবনের জায়গাও অন্যের যাহা জোর করে দখল করে নেয়া ভূমি।  জমির প্রকৃত মালিক মোস্তফা শেখ ও তার পরিবার।

অভিযোগ রয়েছে প্রতিবেশী মোস্তফা  শেখ গংদের পৈত্রিক জমি জোর করে দখল করে এ ঘর নির্মান করা হয়। নির্মান কালে বাধা  দেয়া হলে ও নেত্রী শারমিনের প্রাভাবে হুমকি ধমকিতে আটকানো যায় নি।

ভুক্তভোগী মোস্তফা শেখ বলেন আমাদের পৈত্রিক জমি দখল করে ঘর নির্মান করে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে  শারমিনের মা শেফালী বেগমকে দিয়ে । আমরা এ আমাদের পৈতৃক ভূমির জন্য প্রতিবাদ করায় আমাদের ৫ ভাই   মিথ্যা মামলার আসামী, যার নাম্বার সি আর- ১২৬৩,।

খোজ নিয়ে জানা যায় তাদেরকে তার এ দখল ও প্রতারনার মাধ্যমে এলাকার মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার  ঘটনায় সুবিধাভোগী হয়ে  প্রত্যক্ষ্য  সহায়তা করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের এক  নেত্রী এবং উপজেলার  সাবেক রেডিমেট মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।  ৫ ই আগস্টের পর ঐ নেত্রী পলাতক থাকায়, সহায়তা  করেন তার ভাই বিএনপি পন্থী  এক আইনজীবি।

প্রতিবেশী দের সাথে কথা বলে যানা যায় দলীয় প্রভাব  এবং তাদের নিলজ্জ সহায়তায় বেপরোয়া মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন। এলাকা থেকে বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করলে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি লোকজন। কেউ প্রতিবাদ করলেই মামালা হামলার হুমকি। মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। এমনকি তার আপন চাচাকে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।

এ ব্যাপারে তার আপন চাচা বকুল শেখ বলেন তাদের এ নানান অপর্কমের প্রতিবাদ করায় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক হয়রানি করা হয়েছে।

প্রতিবেশী সেলিনা আক্তার বলেন —  সে কথায় কথায় মানুষকে মামলার ভয় দেখায়,

চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন বলেন – সরকারী বরাদ্ধে  এভাবে ঘর করা যায় না। তা ছাড়া সরকারের দলীয় লোক হওয়ায় কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত ঘর নির্মান করেন শারমিন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শারমিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায় নি।