বুধবার৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেল স্টেশনে প্রকাশ্যে স্বামীকে জুতাপেটা, অপমানে আত্মহত্যা!

বাংলা সংবাদ ২৪ডেক্স-স্ত্রীর হাতে প্রকাশ্যে জুতাপেটা হয়ে পলাশ ঘোষ নামের এক ব্যাক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান আদালতে পলাশ ঘোষের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর ট্রেন ধরার জন্য বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন পলাশ। তখনই তাকে জুতা দিয়ে মারধর শুরু করেন স্ত্রী পায়েল। শুধু তাই নয়, শ্বশুড়বাড়ির লোকজনও তাকে মারধর করে। এমনকি, স্থানীয় জনতার হাতেও নিগৃহীত হন পলাশ ঘোষ ও তার পরিবারের লোকজন।
প্রকাশ্যে এমন অপমান সহ্য করতে পারেননি পলাশ। রাতে বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সকালে ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। তাতে অপমানের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন পলাশ।
পলাশের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আদালতের বিবাদের জেরে স্টেশনে পলাশকে মারধর শুরু করেন পায়েল। এমনকি পলাশের বৃদ্ধ বাবা-মা তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও আক্রমণ করেন তিনি। সবার সামনে জুতা দিয়ে পলাশকে পেটান পায়েল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বছর পাঁচেক আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির চোটকুন্ড গ্রামের বাবলু ঘোষের মেয়ে পায়েল ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার মাতিস্বর গ্রামের অনিল ঘোষের ছেলে পলাশের। সুখেই সংসার করছিলেন তারা। তাদের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। হঠাৎ সংসারে ছন্দপতন শুরু হয় দুই বছর আগে। পূর্ব বর্ধমান মহিলা থানায় স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ করেন পলাশের স্ত্রী পায়েল ঘোষ। পাল্টা বার্ধমান কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন পলাশ।