শনিবার১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ছিনতাই করলেন ছাত্রলীগ সভাপতি!

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি-ছবি-সংগৃহীত।

বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের কলেজ পাড়া এলাকায় ফরদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ বাবুর বিরুদ্ধে নব দম্পতিকে মারধর করে মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন ছিনতায়ের অভিযোগ উঠেছে।

আহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মীর মাসুদুর রহমান ফরদাবাদ গ্রাম থেকে স্ত্রী সামিনূর নাহার ও শ্যালিকা রাশমি আক্তারকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে পূর্বহাটি থেকে ভুরভুরিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

কিছু দূর যেতেই ফরদাবাদ কলেজপাড়া এলাকার রাস্তায় ৮-১০ জন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফরদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ বাবু তাদের পথরোধ করেন।
এক পর্যায়ে কোনো কারণ ছাড়াই অটোরিকশা থেকে মীর মাসুদুর রহমানকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার অনুসারীরা। সেই সময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে স্ত্রী সামিনূর নাহারকেও মারধর করেন তারা। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা রাশমি আক্তারকে মারধর করেন ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু ও তার অনুসারীরা।

তারা সামিনূর নাহারের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ফরদাবাদ বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

ফরদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আজিজ জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি বাবুর নেতৃত্বে নব দম্পতিকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনেছি। এই ধরনের ঘটনা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে।

এবিষয়ে ফরদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ বাবু বলেন, ওই ছেলেটার (মীর মাসুদুর রহমান) সঙ্গে এলাকার কিছু ছেলের পূর্বের ঘটনার জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমার বিরুদ্ধে তার এবং তার স্ত্রীর চেইন ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা সঠিক না।

এ ঘটনায় শনিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল আহম্মেদের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।